বৃহস্পতিবার (৭ অক্টোবর) বিষয়টি নিশ্চিত করে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন গণমাধ্যমে বলেন, শুরু থেকে আমরা পরীক্ষা নেওয়ার পক্ষে ছিলাম। কিন্তু অষ্টম শ্রেণির জেএসসি-জেডিসি পরীক্ষা বাতিল হওয়ায় বর্তমানে পঞ্চম শ্রেণির পিইসি ও ইবতেদায়ি পরীক্ষা নেওয়া কঠিন হয়ে পড়েছে। এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে প্রধানমন্ত্রীর কাছে প্রস্তাবনা হিসেবে সারসংক্ষেপ পাঠানো হয়েছে। তিনি সম্মতি দিলে পরীক্ষা বাতিল করা হবে।
করোনার কারণে অন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি দেড় বছর বন্ধ ছিল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। শেষ করা সম্ভব হয়নি পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের নিয়মিত সিলেবাস। এ কারণে বাতিল হতে পারে পাবলিক পরীক্ষার আদলে হওয়া চলতি বছরের পিইসি ও ইবতেদায়ি পরীক্ষা। সাময়িক পরীক্ষার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের সার্টিফিকেট দেওয়ার চিন্তা করছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।
জানা যায়, গত ১২ সেপ্টেম্বর থেকে সীমিত পরিসরে স্কুল-কলেজে পাঠদান শুরু হয়। প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রতিদিন সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে চলছে শিক্ষা কার্যক্রম। পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের শিখন জ্ঞান অর্জনে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) তত্ত্বাবধানে তিন মাসের একটি সংক্ষিপ্ত সিলেবাস প্রণয়ন করে তা পড়ানো হচ্ছে। অন্য ক্লাসের শিক্ষার্থীদের সপ্তাহে একদিন ও দুদিন করে ক্লাস নেওয়া হলেও পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের সপ্তাহে ছয়দিন দুটি বিষয়ের ক্লাস করানো হচ্ছে।
সম্প্রতি শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি চলতি বছরের জেএসসি-জেডিসি পরীক্ষা বাতিল করায় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ও বোর্ড পরীক্ষা নেওয়ার চিন্তা-ভাবনা থেকে সরে এসেছে। বার্ষিক বা সাময়িক পরীক্ষা নিয়ে পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের সার্টিফিকেট দেওয়ার চিন্তা-ভাবনা চলছে।