পুদিনা পাতায় থাকা ম্যাগনেসিয়াম ও আয়রন নানাভাবে আমাদের শরীর সুস্থ রাখে। তাই নিয়মিত পুদিনা পাতা খাওয়ার অভ্যাস থাকা জরুরি। তবে রান্না ছাড়াও আরও কিছু কাজে ব্যবহার করা যায় এই উপকারী পাতা। আপনি হয়তো সেসব অবাক করা ব্যবহারগুলো জানেনই না। চলুন তবে জেনে নেওয়া যাক-
পুদিনা পাতার এয়ার ফ্রেশনার
এয়ার ফ্রেশনার সাধারণত বাইরে থেকে কিনে আনা হয়। তবে বাড়িতে পুদিনা পাতা দিয়ে অন্য উপায়েও এয়ার ফ্রেশনার তৈরি করতে পারবেন। জেনে অবাক হচ্ছেন? এই এয়ার ফ্রেশনার তৈরির জন্য আপনাকে কিছু পুদিনা পাতা হালকা আঁচে শুকিয়ে নিতে হবে। এরপর একটি পরিষ্কার সুতির কাপড়ে পাতাগুলো পুটলি বেঁধে দরজার উপরে বা ঘরের কোণে ঝুলিয়ে দিন। তাতে ঘরদোর সুগন্ধে ভরে থাকে। বাড়িতে থাকলে আপনিও সতেজ অনুভব করবেন।
ব্রণ দূর করতে পুদিনা পাতার ব্যবহার
ত্বক থেকে ব্রণ দূর করতে নানা ধরনের প্রসাধানী ব্যবহার করেও মুক্তি মেলে না অনেক সময়। আপনিও যদি একই সমস্যা ভুগে থাকেন তবে আজ থেকে ব্যবহার করা শুরু করুন পুদিনা পাতা। পুদিনা পাতার তৈরি ফেসপ্যাক মুখে ব্যবহার করলে ব্রণ থেকে মুক্তি পাওয়া সহজ হবে। এই পাতায় আছে সালিসাইলিক অ্যাসিড। এটি ব্রণের প্রকোপ কমাতে সাহায্য করে।
ফেসপ্যাক তৈরির জন্য দশ-পনেরোটি পুদিনা পাতার সঙ্গে দিই চামচ গোলাপ জল মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে মুখে লাগিয়ে অপেক্ষা করুন আধা ঘণ্টা। এরপর ঠান্ডা পানিতে মুখ ধুয়ে নিন। এভাবে প্রতিদিন একবার ব্যবহার করলে ব্রণ দূর হবে দ্রুত।
পুদিনা পাতার আইস
আপনার ফ্রিজের আইস ট্রেতে যতগুলো কিউব রাখার জায়গা আছে ততগুলো পুদিনা পাতা নিন। এবার আইস ট্রেতে খাওয়ার পানি ঢেলে তাতে একটি করে পুদিনা পাতা রেখে আবার ফ্রিজে রেখে দিন। মিনিট বিশেক পরে আইস ট্রেতে আরেকটু পানি ঢেলে দিন। এতে পুদিনা পাতা থাকবে আইস কিউবের মাঝখানে। এতে দেখতে বেশ সুন্দর লাগবে। শরবত কিংবা ঠান্ডা পানীয়র সঙ্গে এই আইস পরিবেশন করতে পারবেন।
মিন্ট ডেজার্ট খেয়েছেন কখনো?
এটি তৈরি করা খুব সহজ। আপনি যদি এখনও না খেয়ে থাকেন তাহলে রেসিপি শিখে নিয়ে আজই তৈরি করে ফেলুন। এর স্বাদ কিন্তু দারুণ। তৈরি করার জন্য একটি বাটিতে অল্প লিকুইড চকোলেট তাতে একটি একটি করে পুদিনা পাতা চুবিয়ে ডিপ ফ্রিজে রেখে দিন। ঘণ্টা দুই পর বের করে নিন। ততক্ষণে চকোলেট পুদিনা পাতার ওপর জমে যাবে। এটিই হলো মিন্ট ডেজার্ট।
পা থেকে দুর্গন্ধ দূর করতে
পুদিনা পাতা ও খানিকটা পানি মিশিয়ে মিনিট দশেক ফুটিয়ে নিন। এবার তার সঙ্গে আরও পানি যোগ করুন। হালকা গরম পানি একটি বালতিতে নিয়ে তাতে পা চুবিয়ে বসুন অন্তত পনেরো মিনি। নিয়মিত এভাবে ব্যবহার করতে পারলে পায়ের দুর্গন্ধ নিয়ে ভুগতে হবে না।