শেখ রাসেলের জন্মদিন উপলক্ষে সোমবার (১৮ অক্টোবর) সকালে রাজধানীর বনানী কবরস্থানে তার সমাধিতে শ্রদ্ধা জানিয়ে এ কথা বলেন তিনি।
সেতুমন্ত্রী বলেন, হত্যা, ষড়যন্ত্র ও সাম্প্রদায়িক রাজনীতির কারণে বহু কষ্টে অর্জিত গণতন্ত্রের ওপর আঘাত এসেছে। কাজেই আজকের দিনে আমাদের শপথ হোক- বাংলাদেশের অর্জন, উন্নয়নের বিরুদ্ধে যে সাম্প্রদায়িক অপশক্তির যে ডাল-পালার বিস্তার লাভ করেছে। এ বিষবৃক্ষ ও ডালপালা উপরে ফেলতে হবে।
তিনি বলেন, বিশ্বের ইতিহাসে এ নৃশংসতম রাজনৈতিক হত্যা হয়নি। কিন্তু মানব সভ্যতার ইতিহাসে ৭৫' এর ১৫ আগস্ট নৃশংসতম হত্যা কাণ্ড হয়েছে। যে হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছে শেখ রাসেলের মতো অবুঝ শিশুও। অথচ বিশ্বের ইতিহাসে কোনো শিশু হত্যাকাণ্ডের টার্গেট হয়নি। কিন্তু জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠপুত্র শেখ রাসেলকে টার্গেট করে হত্যা করা হয়েছে। রাসেল ছিলেন মেধাবী, বুদ্ধিদীপ্ত, বিনয়ী ও সম্ভবনাময়ী। তার মধ্যে ছিল ভবিষ্যৎ নেতৃত্বের ছাপ।
এর আগে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠপুত্র ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছোট ভাই শহীদ শেখ রাসেলের জন্মদিনে তার কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়েছে আওয়ামী লীগ। এসময় দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের নেতৃত্বে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মতিয়া চৌধুরী, আব্দুর রাজ্জাক, জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, দীপু মনি, আফম বাহাউদ্দীন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, আহমেদ হোসেন, আবু সাইদ আল মাহমুদ স্বপন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক প্রকৌশলী আবদুস সবুর, দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, উপ দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান প্রমুখ।
আওয়ামী লীগের শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে শহীদ শেখ রাসেলের কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানায় আওয়ামী যুবলীগ, মহিলা আওয়ামী লীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, ছাত্রলীগসহ সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনগুলো। এ সময় ফাতেহা পাঠ, মিলাদ ও দোয়া মাহফিলও করা হয়। এতে ১৫ আগস্টে নিহতদের রুহের মাগফিরাত কামনা করা হয়।