মঙ্গলবার (২৬ অক্টোবর) সকালে রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) বেস্ট রিপোর্টিং অ্যাওয়ার্ড প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ডিআরইউর সভাপতি মুরসালিন নোমানী।
অনুষ্ঠানে স্পিকার আরও বলেন, আমাদের মনে রাখতে হবে দায়িত্বশীল ও নৈতিকতা পূর্ণ সাংবাদিকতা এখন জরুরি। কারণ ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে নাশকতা ঘটানো হচ্ছে। তা প্রতিরোধ করার বিষয়টি আমাদের ভাবতে হবে। এজন্য প্রয়োজন উপযুক্ত সাংবাদিকতা।
তিনি আরও বলেন, ২০০৮ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন। তারই ফলশ্রুতিতে আমরা এ করোনাকালে ডিজিটাল বাংলাদেশের মাধ্যমে সবার সঙ্গে সংযুক্ত থেকেছি ভার্চুয়ালি। ২০০৮ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ডিজিটাল বাংলাদেশের যে ঘোষণা দিয়েছিলেন তা এখন বাস্তবতা। এখন অবাধে সংবাদ প্রচার করা যাচ্ছে। চলমান ঘটনাকে তুলে ধরছেন সাংবাদিকরা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের কারণে অনেক নতুন বিষয় চ্যালেঞ্জ হিসেবে আবির্ভূত হচ্ছে বলে আমি মনে করি। আমি মনে করি গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভ গণমাধ্যম। গণমাধ্যম জনজীবনের অন্যতম অনুষঙ্গ। আমরা অসংখ্য খবরের মুখোমুখি হই প্রতিদিন। সংবাদের প্রবাহ বেগবান হয়েছে তথ্যপ্রযুক্তির কল্যাণে।
ডিআরইউ সদস্যদের পেশাগত কাজের স্বীকৃতি হিসেবে প্রতি বছর বিভিন্ন বিষয়ে শ্রেষ্ঠ রিপোর্টিংয়ের জন্য অ্যাওয়ার্ড দিয়ে থাকে। এবার প্রিন্ট ও অনলাইন ক্যাটাগরিতে ক্রীড়া বিষয়ে বেস্ট রিপোর্টিং অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন ঢাকা পোস্টের জ্যেষ্ঠ ক্রীড়া প্রতিবেদক আরাফাত জোবায়ের। প্রিন্ট ও অনলাইন ক্যাটাগরিতে মুক্তিযুদ্ধ, ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি; শিক্ষা; অপরাধ ও আইনশৃঙ্খলা; তথ্য, যোগাযোগ ও প্রযুক্তি; রাজনীতি, প্রশাসন, বিচার, সংসদ ও নির্বাচন কমিশন; ক্রীড়া; স্বাস্থ্য; সেবা খাত; কৃষি ও পরিবেশ; অর্থনীতি; আর্থিক খাত (ব্যাংক, বিমা ও পুঁজিবাজার); নারী, শিশু ও মানবাধিকার এবং বৈদেশিক সম্পর্ক (কূটনীতি ও জনশক্তি) বিষয়ে অ্যাওয়ার্ড দেওয়া হয়েছে।
এছাড়া টেলিভিশন ও রেডিও ক্যাটাগরিতে অর্থনীতি; আর্থিক খাত (ব্যাংক, বিমা ও পুঁজিবাজার); অপরাধ ও আইনশৃঙ্খলা; তথ্য, যোগাযোগ ও প্রযুক্তি; নারী, শিশু ও মানবাধিকার; ক্রীড়া; স্বাস্থ্য; সেবা খাত এবং সুশাসন ও দুর্নীতি (অনুসন্ধানী) বিষয়ে অ্যাওয়ার্ড দেওয়া হয়েছে।