চীনের সরকারি বার্তা সংস্থা শিনহুয়ার মঙ্গলবারের প্রতিবেদনে এই খবর প্রকাশিত হয়েছে। প্রতিষ্ঠান দুটি চীনের রাষ্ট্রায়ত্ত চায়না ন্যাশনাল ফার্মাসিটিউক্যালস গ্রুপের অঙ্গসংস্থা। চীনের ন্যাশনাল হেলথ কমিশনও এই খবরের সত্যতা নিশ্চিত করেছে।
এর আগে গত মার্চে চীন সরকার আরও একটি করোনাভাইরাস ভ্যাকসিনের ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের অনুমোদন দেয় চীন; এখন দ্বিতীয় পর্যায়ে রয়েছে। ওই ভ্যাকসিন তৈরির কাজটি করছে চীনের দেশটির সামরিক বাহিনীর প্রতিষ্ঠান অ্যাকাডেমি অব মিলিটারি মেডিকেল সায়েন্স।
গত ১৬ মার্চ এমআরএনএ–১২৭৩ নামে যুক্তরাষ্ট্রের বায়োটেকনোলজি কোম্পানি মর্ডানার আনুকূল্যে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউটের বিজ্ঞানীরা প্রথমবারের মতো করোনার ভ্যাকসিনের হিউম্যান ট্রায়ালের ঘোষণা দেওয়ার পর চীনও তাদের ভ্যাকসিনের হিউম্যান ট্রায়ালের কথা জানায়।
মহামারি করোনাভাইরাস প্রতিরোধে এখনো কোনো ভ্যাকসিন আবিষ্কার হয়নি। তবে বিশ্বজুড়ে বিজ্ঞানীরা প্রাণঘাতী এই ভ্যাকসিন তৈরির জন্য দিনরাত কাজ করে যাচ্ছেন। বিশ্ব স্বাস্থ সংস্থার দেওয়া হিসাব অনুযায়ী, গোটা বিশ্বে অর্ধশতাধিক ভ্যাকসিন পরীক্ষামূলক পর্যায়ে রয়েছে।
সাধারণত একটি ভ্যাকসিন শুরুতে পরীক্ষাগারে তৈরির পর সেখানেই প্রাথমিক পরীক্ষাটি করা হয়। পরে তা প্রাণীর দেহে প্রয়োগ করা হয়। সেখানে কার্যকর ও নিরাপদ প্রমাণিত হলে তা ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল পর্যায়ে প্রবেশ করে, যেখানে এটি মানুষের ওপর প্রয়োগ করা হয়।