বিষয়টি জানিয়ে অধিদপ্তরের পরিচালক (হাসপাতাল ও ক্লিনিক) মো. আমিনুল হাসান স্বাস্থ্যসচিব বরাবর চিঠি দিয়েছেন। আজ মঙ্গলবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এক চিঠিতে এই সিদ্ধান্তের কথা জানা যায়।
চিঠিতে করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগীদের জন্য নির্ধারিত ছয়টি হাসপাতালের চিকিৎসক, নার্স অন্যান্য স্বাস্থ্য সেবাদানকারী সদস্যের জন্য নির্ধারিত ১৯টি হোটেলের নামসহ প্রয়োজনীয় কক্ষের সংখ্যা উল্লেখ করা হয়।
৬টি হাসপাতালের সেবাদানকারীদের জন্য নির্ধারিত হোটেলগুলো হচ্ছে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের জন্য ঢাকা রিজেন্সি। শেখ রাসেল গ্যাস্ট্রোলিভার ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের জন্য হোটেল অবকাশ, হোটেল জাকারিয়া, হোটেল রেনেসাঁ, ঢাকা রিজেন্সি, রেডিসন ব্লু, সোনারগাঁও, লেকভিউ, লা মেরিডিয়ান। কুয়েত-বাংলাদেশ মৈত্রী হাসপাতালের জন্য উত্তরার হোটেল মেলোলিফ, হোয়েল মিলিনা। মিরপুরের মাতৃ ও শিশু স্বাস্থ্য প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানের জন্য গ্রান্ড প্রিন্স, হোটেল শ্যামলী, হোটেল ড্রিমল্যান্ড। মহানগর জেনারেল হাসপাতালের জন্য রাজমনি ঈশা খাঁ, ফারস হোটেল ও হোটেল’৭১। রেলওয়ে জেনারেল হাসপাতালের জন্য হোটেল সাগরিকা, হোটেল গ্র্যান্ড সারকেল ইন এবং হোটেল শালিমারের নাম প্রস্তাব করা হয়েছে।
করোন নিয়ে আজ মঙ্গলবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত অনলাইন ব্রিফিংয়ে জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে সর্বোচ্চ ২০৯ জন করোনাভাইরাসে সংক্রমিত রোগী শনাক্ত হয়েছেন। এক দিনে এটা সর্বোচ্চ শনাক্ত। দেশে এই প্রথম এক দিনে শনাক্তের সংখ্যা ২০০ ছাড়াল। একই সময় মারা গেছেন ৭ জন। এ নিয়ে দেশে মোট শনাক্তের সংখ্যা দাঁড়াল ১ হাজার ১২। আর মৃত ব্যক্তির সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৪৬। গতকাল শনাক্তের সংখ্যা ছিল ১৮২। মৃত্যু হয় ৫ জনের। গত ২৪ ঘণ্টায় মোট নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করা হয়েছে ১ হাজার ৯০৫ জনের। গতকাল পরীক্ষা হয় ১ হাজার ৫৭০ জনের।