বৃহস্পতিবার (২৮ অক্টোবর) সাত ক্যাটাগরিতে আলোচিত দুই কোম্পানিসহ ২৩ কোম্পানিকে এই পুরস্কার দেওয়া হয়েছে।
কোম্পানিগুলোর প্রতিনিধিদের হাতে পুরস্কারগুলো তুলে দেন শিল্পমন্ত্রী নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন। শিল্প সচিব জাকিয়া সুলতানার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার ও শিল্প মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো: গোলাম ইয়াহিয়া।
অনুষ্ঠানে প্রথম পুরস্কার হিসেবে প্রত্যেককে দেয়া হয় তিন লাখ টাকা ও ২৫ গ্রাম স্বর্ণখচিত ক্রেস্ট। দ্বিতীয় পুরস্কার হিসেবে প্রত্যেককে দুই লাখ টাকা ও ২০ গ্রাম স্বর্ণখচিত ক্রেস্ট এবং তৃতীয় পুরস্কার হিসেবে প্রত্যেককে এক লাখ টাকা ও ১৫ গ্রাম স্বর্ণখচিত ক্রেস্ট দেয়া হয়।
পুঁজিবাজারে ওষুধ খাতের কোম্পানি স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড বৃহৎ শিল্প ক্যাটাগরিতে প্রথম পুরস্কার পেয়েছে। ১৯৯৫ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস দেশের সবচেয়ে বড় ওষুধ কোম্পানি। এছাড়াও কোম্পানিটির রয়েছে বেশ কয়েকটি সহযোগী প্রতিষ্ঠান। দেশীয় ও আন্তর্জাতিক বাজারে সর্বোচ্চ ওষুধ বিক্রিকারী এই প্রতিষ্ঠান বহুজাতিক কোম্পানিতে রূপান্তরের প্রক্রিয়া শুরু করেছে। কোম্পানিটি দেশের প্রথম ফার্মাসিউটিক্যালস কোম্পানি হিসেবে বিদেশে কারখানা করছে। আফ্রিকান দেশ কেনিয়ায় নির্মাণাধীন ওই কারখানা আগামী কয়েক মাসের মধ্যে উৎপাদনে যাবে বলে শুরু করা যাচ্ছে।
এদিকে সর্বশেষ হিসাববছরের (২০২০-২১) জন্য কোম্পানিটি ৬০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। আলোচিত বছরে কোম্পানিটির সমন্বিত শেয়ার প্রতি আয় (Consolidated EPS) হয়েছে ১৭ টাকা ৯৯ পয়সা।
গত ২১ অক্টোবর অনুষ্ঠিত পর্ষদ বৈঠকে স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস কোম্পানির উৎপাদন ক্ষমতা বাড়াতে বিএমআরই, সহজ কথায় কারখানা আধুনিকায়ন ও সম্প্রসারণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই খাতে কোম্পানিটি ৩শ কোটি টাকা বিনিয়োগ করবে।
ট্যানারি খাতের কোম্পানি ফরচুন সুজ লিমিটেড ২০১৬ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়। শতভাগ রপ্তানীমুখী এই কোম্পানি নারী-পুরুষ ও শিশুদের জন্য স্পোর্টস সুজ, বুট ও কেডসসহ নানা ডিজাইনের জুতা উৎপাদন করে থাকে। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবশালী বিজনেস ম্যাগাজিন ফোর্বসের ‘এশিয়ার সেরা ২০০ আন্ডার এ বিলিয়ন’ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় ফরচুন সুজ নাম এসেছে। বিপণন ও মুনাফার ভিত্তিতে ম্যাগাজিনটির করা এশিয়ার সেরা ২০০টি কোম্পানির তালিকায় ঠাঁই পেয়েছে বাংলাদেশের কোম্পানি স্কয়ার ফার্মা, রেনাটা লিমিটেড ও ফরচুন সুজ। ম্যাগাজিনটির প্রতিবেদনে তালিকায় তিন নম্বরে থাকা ফরচুন সুজের বাজার মূল্য দেখানো হয়েছে ২ কোটি ৮০ লাখ ডলার।
সর্বশেষ হিসাববছরের (২০২০-২১) জন্য কোম্পানিটি ১৫ শতাংশ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে; যার মধ্যে আছৈ ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ও ৫ শতাংশ বোনাস। আলোচিত বছরে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১ টাকা ৫৯ পয়সা।
সর্বশেষ পর্ষদ বৈঠকে ফরচুন সুজ ব্যবসা বহুমুখীকরণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর অংশ হিসেবে কোম্পানিটি লাইফস্টাইল প্রোডাক্টের চেইন স্টোরের ব্যবসায় নামছে। এ লক্ষ্যে ফরচুন গ্যালারি নামের প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগ করবে ফরচুন সুজ। ফরচুন গ্যালারি দেশের বড় বড় শহরে আউটলেট স্থাপন করে সেখানে লাইফস্টাইল প্রোডাক্ট বিক্রি করবে।