এ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের নির্দেশনা দিয়ে সম্প্রতি খাদ্য অধিদপ্তর থেকে ঢাকা, খুলনা, রংপুর, চট্টগ্রাম, সিলেট, বরিশাল, রাজশাহী ও ময়মনসিংহের আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কাছে চিঠি পাঠানো হয়েছে।
চিঠিতে বলা হয়, আসন্ন আমন, ২০২১-২২, মৌসুমে দেশব্যাপী ২৫০টি নির্বাচিত উপজেলায় পাইলট আকারে ‘কৃষকের অ্যাপ’ বাস্তবায়ন করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। কৃষকের অ্যাপের মাধ্যমে কৃষক নিবন্ধন ও ধান বিক্রয়ের আবেদন গ্রহণের সময়সীমা আগামী ১৫ নভেম্বর পর্যন্ত নির্ধারণ করা হয়েছে।
‘কৃষকের অ্যাপ’-এর মাধ্যমে কৃষক নিবন্ধন ও ধান বিক্রয়ের আবেদন ও নিবন্ধনের সময়সীমা সম্পর্কে কৃষকদের অবহিত করার জন্য স্থানীয় পর্যায়ে বহুল প্রচারণা চালানো প্রয়োজন। এ জন্য মাঠ পর্যায়ে বাস্তবায়নের জন্য ১৩টি নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে চিঠিতে।
নির্দেশনাগুলো হলো-
১. নির্বাচিত উপজেলায় ‘কৃষকের অ্যাপ’-এর মাধ্যমে ধান ক্রয় কার্যক্রম সম্পাদন করতে হবে।
২. প্রশিক্ষণ সিডিউল অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট সব ইউএনও/উপজেলা কৃষি কর্মকর্তাসহ খাদ্য অধিদপ্তরের মাঠপর্যায়ের সংশ্লিষ্ট মনোনীত কর্মকর্তা/কর্মচারীদের জুমের মাধ্যমে ভার্চুয়াল কর্মশালায় অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে।
৩. খাদ্য অধিদপ্তরের ওয়েবেসাইটের নিচের অংশে সংযোজিত ‘ফটো এবং ভিডিও বক্স’ থেকে ‘গাইড লাইন কৃষকের অ্যাপ’ থেকে ভিডিও টিউটোরিয়াল ডাউনলোড করে অ্যাপ ব্যবহার সম্পর্কে ইউএনও/উপজেলা কৃষি কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে অবহিত করতে হবে।
৪. কৃষকের অ্যাপের মাধ্যমে ধান সংগ্রহ কার্যক্রমের জন্য প্রস্তুতকৃত লিফলেট ও তৈরিকৃত অডিও মাইকিংয়ের মাধ্যমে এবং টিভিসি (ভিডিও) ক্যাবল টিভি নেটওয়ার্কের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট উপজেলায় প্রচার করতে হবে।
৫. প্রস্তুতকৃত পোস্টার উপজেলার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সংযোগ স্থান, বাজার, মসজিদের প্রধান ফটকের বিপরীতে এবং দৃষ্টিগোচর হয় এমন স্থানে সেঁটে দিতে হবে।
৬. প্রস্তুতকৃত লিফলেট জনসমাগম হয় এমন স্থানে, যেমন- মসজিদ, স্থানীয় বাজারের দিন, চায়ের দোকানে বিতরণ করতে হবে।
৭. প্রস্তুতকৃত লিফলেট ইউনিয়ন চেয়ারম্যান, মেম্বার ও স্থানীয় গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গের কাছে পৌঁছে দিতে হবে।
৮. উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তার উঠান বৈঠকে উপস্থিত হয়ে প্রস্তুতকৃত লিফলেট বিতরণ করতে হবে।
৯. কৃষকের অ্যাপের মাধ্যমে ধান সংগ্রহ কার্যক্রমের জন্য তৈরিকৃত অডিও মাইকিংয়ের মাধ্যমে জনসমাগম স্থানে প্রচার করা করতে হবে।
১০. প্রস্তুতকৃত লিফলেট জেলা/উপজেলার ওয়েব পোর্টালে প্রকাশ করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
১১. সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্টার/লিফলেট প্রকাশ করে প্রচার করতে হবে।
১২. স্থানীয় প্রশাসনের মাধ্যমে সভা করে সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন চেয়ারম্যান, মেম্বার, মহিলা মেম্বার, ইউডিসি উদ্যোক্তাদের অবহিত করতে হবে।
১৩. ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারে উদ্যোক্তার মাধ্যমে কৃষক নিবন্ধন উৎসাহিত করতে হবে।