মন্ত্রী বলেন, আগে ছোটদের নিয়ে পত্রিকায় শিশুদের পাতা বের হতো, এখন সেটা হয় না। ছোটবেলায় শিশু পাতায় আমার লেখা প্রকাশ হওয়ায় আমার মধ্যে যে আত্মবিশ্বাস বেড়েছে, তা পরবর্তী জীবনে কাজে দিয়েছে। এটি শিশুর আত্মবিশ্বাস বিকশিত করে।
রোববার (৩১ অক্টোবর) বেলা ১১টায় রাজধানী তোপখানা রোডে সিরডাপ মিলনায়তনে যুক্তরাজ্যভিত্তিক আন্তর্জাতিক অলাভজনক উন্নয়নমূলক সংস্থা অ্যাকশন এইড আয়োজিত ‘অ্যাকশন এইড ইয়াং জার্নালিস্ট মিডিয়া অ্যাওয়ার্ড ২০২১’ এর পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
হাছান মাহমুদ বলেন, কাগজের প্রতিবেদন সমাজকে ভাবায়। ইতিবাচক পরিবর্তন আনে। এজন্য তরুণদের পুরস্কৃত করা ও উৎসাহ দেওয়া প্রয়োজন। আজকের এ আয়োজন তরুণ সাংবাদিকদের সেটিই করছে।
তথ্যমন্ত্রী আরও বলেন, একজন সাংবাদিক স্বাধীনভাবে সমাজকে পরিচালিত করতে বিরাট ভূমিকা রাখতে পারে। সমাজে অনেক কিছু আছে, যা উঠে আসে না। পিছিয়ে থাকা মানুষগুলো নিজেদের কথাগুলো বলতে পারে না। সে কথাগুলোই উঠে আসে সাংবাদিকদের লেখার মধ্য দিয়ে।
এসময় সাংবাদিকদের অনুরোধ জানিয়ে তিনি বলেন, সমাজের অনুচিত বিষয়গুলো তুলে আনা জরুরি। তবে বর্তমানে যে অসুস্থ প্রতিযোগিতা চলছে, তাতে অনেক সময় একটি প্রতিবেদনে সংশ্লিষ্টজন ক্ষতিগ্রস্তও হতে পারে। সেদিকে নজর দিতে হবে। এসব থেকে বের হয়ে ভালো প্রতিবেদন আরও বাড়াতে হবে।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন, আজকের পত্রিকার সম্পাদক ও সাবেক প্রধান তথ্য কমিশনার ড. মো. গোলাম রহমান, অ্যাকশন এইড বাংলাদেশের ম্যানেজার নাজমুল আহসান, নিউজটোয়েন্টিফোরের সিনিয়র নিউজ এডিটর বোরহানুল হক সম্রাট প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে নিউজটোয়েন্টিফোরের সাংবাদিক কামরুজ্জামান, ডেইলি স্টারের সাংবাদিক নীলিমা জাহান, দৈনিক যুগান্তরের জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক এম ইউসুফ আলী, আইপিনিউজ বিডি (অনলাইন) এর প্রধান প্রতিবেদক সতেজ চাকমাকে ফেলোশিপ দেওয়া হয়।