বৃহস্পতিবার (৪ নভেম্বর) যুক্তরাজ্যে অনুষ্ঠিত ‘বাংলাদেশ ইনভেস্টমেন্ট সামিট ২০২১: বিল্ডিং সাস্টেইনেবল গ্রোথ পার্টনারশিপ’ শীর্ষক রোড শোতে বক্তব্য প্রদানকালে তিনি এসব কথা বলেন। বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এন্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) এই রোড শো’র আয়োজন করে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের শেয়ারবাজারের মূলধন ৬০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। এছাড়া এখানে ভবিষ্যতে মিউচ্যুয়াল ফান্ডের প্রচুর সম্ভাবনা আছে। এই মিউচ্যুয়াল ফান্ডে দীর্ঘমেয়াদে বিনিয়োগ করা যাবে। এছাড়া এশীয় অঞ্চলে দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতির মধ্যে শীর্ষে বাংলাদেশ। বর্তমানে বিদেশি সহায়তা ছাড়াই আমাদের সক্ষমতা বাড়ছে। ১৯৭১ সালে আমাদের বিদেশি সহায়তার হার ছিল ৯৮ শতাংশ। আর ২০২১ সালে সেটি মাত্র ২ দশমিক ৯৮ শতাংশ।
এছাড়াও তিনি বলেন, বাংলাদেশে বিনিয়োগ সবচেয়ে বেশি লাভজনক। এরইমধ্যে অনেক বহুজাতিক কোম্পানি বাংলাদেশে বিনিয়োগ করে বিশ্বের যে কোনো দেশের তুলনায় বেশি মুনাফা অর্জন করেছে। বাংলাদেশে বহুজাতিক কোম্পানিগুলো খুব ভালোভাবে ব্যবসা করছে। এগুলোের মধ্যে রয়েছে: ইউনিলিভার, গ্রামীণফোন, রবি আজিয়াটা, ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো, স্যামস্যাং এবং বার্জারসহ আরও অনেক কোম্পানি।
বহুজাতিক কোম্পানিগুলোর মধ্যে জাপানিজ জাইকা বলেছেন, বাংলাদেশে বিনিয়োগ করে সবচেয়ে বেশি লাভ করতে পারে জাপানিজরা। এছাড়া ইউনিলিভারের সিইও বলেছেন, বাংলাদেশের মানুষগুলো খুব কাছাকাছি বসবাস করার ফলে সেখানে আমাদের বিতরণ খরচ কম দরকার পড়ে।
আরিফ খান বলেন, সবজি উৎপাদনে বাংলাদেশ বিশ্বে চতুর্থ বৃহত্তম অবস্থানে। ভৌগলিক দিক থেকেও আমাদের অবস্থান সুবিধাজনক। এছাড়া দারিদ্রের হার ১৯৭৩ সালে ছিলো ৭১ শতাংশ, যা বর্তমানে কমে দাড়িয়েছে ২৯ শতাংশে। এখানে প্রচুর শ্রমিক রয়েছে; তাদের মধ্যে ৩৭ শতাংশ মহিলা। শিক্ষার হার ১৯৮৮ সালে ছিল ২৮ শতাংশ, যা বর্তমানে দাঁড়িয়েছে ৭৬ শতাংশে। বাংলাদেশ রেমিট্যান্স সংগ্রহে বিশ্বের মধ্যে অষ্টম। এছাড়া বিদেশি রিজার্ভের পরিমাণ প্রতিনিয়ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ আমাদের দেশ। এছাড়া পোশাক রপ্তানিতে বিশ্বে দ্বিতীয় অবস্থানে বাংলাদেশ। বাসস্থান শহর থেকে গ্রাম পর্যায়ে বৃদ্ধি করা হচ্ছে এখন। আমাদের দেশের মানুষের অধিকাংশ প্রয়োজনীয়তা পূরণ হয়েছে। বাংলাদেশের ভৌগোেলিক অবস্থান চায়না ও ভারতের কাছে হওয়ার কারনে এখানে বিনিয়োেগের প্রচুর সম্ভাবনা রয়েছে।
এসময় রোড শোতে আরও উপস্থিত ছিলেন- প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান, আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশের হাইকমিশনার সাদিয়া মুনা তাসনীম, যুক্তরাজ্যের বাণিজ্য নীতি প্রতিমন্ত্রী পেনি মর্ডান্ট, ইউনাইটেড কমার্সিয়াল ব্যাংকের চেয়ারম্যান আনিসুজ্জামান চৌধুরী রনি, স্ট্যান্ডার্ড চাটার্ড ব্যাংকের গ্রুপ চেয়ারম্যান জোস ভিনালস, বাংলাদেশ ইনভেস্টমেন্ট ডেভলেপমেন্ট অথরিটির (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান মো. সিরাজুল ইসলাম, এনবিআর চেয়ারম্যান আবু হেনা রহমাতুল মুনিম, বেপজা চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল নজরুল ইসলাম।