তিনি বলেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে কথা বলে তাদের দাবির বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানাবেন। দাবি মানা হলে ধর্মঘট প্রত্যাহার করা হবে।
আব্দুল মোতালেব বলেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহোদয় আমাদের আশ্বস্ত করে বলেছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশের বাইরে আছেন। তিনি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলে যৌক্তিক দাবির কথা জানাবেন। এরপর আমাদের সঙ্গে মন্ত্রী মহোদয় আজ সন্ধ্যায় অথবা আগামীকাল রোববার আবারও বসে সিদ্ধান্ত নেবেন।
তিনি বলেন, দুপুরে ধানমন্ডিতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বাসায় আমরা বৈঠক শেষ করি। বৈঠকে ধর্মঘটের বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আমাদের দাবির কথা শুনেছেন এবং তিনি বলেছেন যৌক্তিক দাবিগুলো আলোচনা করে মেনে নেওয়া হবে।
ট্রাকশ্রমিক-মালিক ফেডারেশনের অতিরিক্ত মহাসচিব বলেন, তেলের দাম বৃদ্ধির কারণে আমাদের ভাড়ার ওপরে প্রভাব পড়েছে। আগে ভাড়া যেখানে ছিল ১০ হাজার, সেখানে এখন ভাড়া হবে তেলসহ ১২ হাজার। তাহলে কীভাবে আমরা গাড়ি চালাবো? আমাদের লাভের যে অংশটা ছিল তা এখন তেলেই চলে যাবে। লাভ না করতে পারলে রাস্তায় গাড়ি চালিয়ে করবো কী? এক রুটে যদি ২০০ লিটার তেল খরচ হয় তাহলে খরচের পরিমাণ কতটা বেড়ে গেলো?
তিনি আরও বলেন, আমরা নেতৃত্ব দেই, আমরা যদি গাড়ি চালানোর কথা বলি গাড়ির মালিকরা তবুও গাড়ি চালাবেন না। কারণ এটি একটি ব্যবসা। ব্যবসা নাহলে গাড়ি কেন চালাবেন তারা?
বুধবার (৩ নভেম্বর) মধ্যরাত থেকে ডিজেলের মূল্য লিটারপ্রতি ১৫ টাকা বৃদ্ধি করেছে সরকার। এ নিয়ে বৃহস্পতিবার (৪ নভেম্বর) পরিবহন খাতের বিভিন্ন সংগঠনের নেতারা বৈঠক করেন। বৈঠক থেকে ভাড়া বাড়ানোর সুনির্দিষ্ট ঘোষণা না দেওয়া পর্যন্ত শুক্রবার থেকে পরিবহন বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।