এতে নেতৃত্ব দেন বাংলাদেশ কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক, সাবেক সাংসদ ও বিডিডিএফ সভাপতি অ্যাডভোকেট উম্মে কুলসুম স্মৃতি। এসময় উপস্থিত ছিলেন বিডিডিএফ এর সহ-সভাপতি উজমা চৌধুরী, সহ-সভাপতি কাজী মো. ইমদাদুল হক, প্রচার সম্পাদক মো. মুতাসীম বিল্লাহ এবং ফোরামের নির্বাহী সদস্য পারভীন সুলতানা।
ফোরামের নেতারা বিডিডিএফ এর বিভিন্ন কার্যক্রম সম্পর্কে প্রতিমন্ত্রীকে অবহিত করেন। তারা প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি সেক্টরের উন্নয়নে সরকারের নেয়া বিভিন্ন পদক্ষেপের প্রশংসা করেন।
এছাড়া বিডিডিএফ নেতারা সরকারের নেয়া ‘প্রাণিসম্পদ উন্নয়ন ও ডেইরি ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্টের (এলডিডিপি) নানা বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন এবং এ প্রকল্পকে আরও সফলকাম ও জনবান্ধব করার জন্য ১২ দফা সুপারিশ পেশ করেন।
সুপারিশগুলো হলো-
১. উৎপাদক দল গঠনে প্রান্তিক ও ক্ষুদ্র খামারিদের অগ্রাধিকার দেয়া।
২. দেশের পিছিয়ে পড়া বিশেষ করে দুর্যোগপ্রবণ জনপদ যেমন- চর, হাওর ও উপকূল অঞ্চলে প্রকল্পের বরাদ্দ তুলনামূলক বেশি রাখা।
৩. প্রকল্পে নারী এবং প্রতিবন্ধী ব্যক্তিকে অগ্রাধিকার দেয়া।
৪. প্রকল্পে দুধ উৎপাদন বৃদ্ধি ও দক্ষ খামার ব্যবস্থাপনা বিষয়ে প্রশিক্ষণের পাশাপাশি ব্যবসায় পরিকল্পনা, বাজার সম্প্রসারণ, জেন্ডার বৈষম্য, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ইত্যাদি বিষয়ে প্রশিক্ষণ ও সক্ষমতা বৃদ্ধির ব্যবস্থা করা।
৫. ডেইরি ভেল্যু চেইনের সঠিক বিশ্লেষণের মাধ্যমে সব মার্কেট অ্যাক্টরের দক্ষতা বৃদ্ধি করা এবং নারী, যুব ও ক্ষুদ্র অ্যাক্টর বা উদ্যোক্তাদের অগ্রাধিকার দেয়া।
৬. বিভাগ/অঞ্চলভিত্তিক দুগ্ধ প্রক্রিয়াজাত কেন্দ্র স্থাপনের জন্য বরাদ্দ রাখা।
৭. ভেল্যু চেইনে নতুন উদ্যোক্তা তৈরির চেয়ে বিদ্যমান উদ্যোক্তাদের দক্ষতা ও সক্ষমতা বৃদ্ধিতে অধিক গুরুত্বারোপ করা।
৮. দেশে বিদ্যমান প্রাইভেট সেক্টর যেমন- দুগ্ধ প্রক্রিয়াজাত কোম্পানি, ইনপুটস সাপ্লাই কোম্পানিগুলোকে প্রকল্পের সঙ্গে শুরু থেকেই সম্পৃক্ত করা।
৯. প্রকল্পের আওতায় দুগ্ধ ও দুগ্ধজাত পণ্যের মান নির্ণয়ের আন্তর্জাতিক মানসম্মত পরীক্ষাগার স্থাপন করা।
১০. বাংলাদেশে ডেইরি ও প্রাণিসম্পদ উন্নয়নে যেসব বেসরকারি সংস্থার অভিজ্ঞতা ও দক্ষতা আছে তাদের শুরু থেকেই প্রকল্পের সাথে সম্পৃক্ত করা।
১১. এলডিডিপি প্রকল্পের মাধ্যমে আমদানিকৃত গুঁড়া দুধের বাজার নিয়ন্ত্রণের জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে অ্যাডভোকেসি করা।
১২. এলডিডিপি প্রকল্পের আওতায় বাংলাদেশ ডেইরি উন্নয়ন নীতিমালা চূড়ান্ত করা।v