সোমবার (১৫ নভেম্বর) সন্ধ্যায় কিশোরগঞ্জের ইটনায় জনপ্রতিনিধিসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ আহ্বান জানান।
হাওর এলাকার উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরে রাষ্ট্রপতি বলেন, এ উন্নয়নের সুফল যাতে জনগণ ভোগ করতে পারে, সেজন্য সরকারি কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধিসহ সংশ্লিষ্টদের আন্তরিকতা ও নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করতে হবে।
তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হাতেই বাংলাদেশের উন্নয়নের অগ্রযাত্রা সূচিত হয়েছিল। দেশের প্রতিটি খাতের সংস্কারের পাশাপাশি উন্নয়নের সূচনা করেন বঙ্গবন্ধু।
তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু মাত্র সাড়ে তিন বছরে যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশকে উন্নয়নের একটি পর্যায়ে নিয়ে গিয়েছিলেন। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট নৃশংস হত্যাকাণ্ড না ঘটলে বাংলাদেশ অনেক দূর এগিয়ে যেত।
রাষ্ট্রপতি বলেন, করোনা মহামারির কারণে বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশের উন্নয়নও বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাহসী ও সময়োপযোগী সিদ্ধান্তের ফলে অনেক উন্নত দেশের তুলনায় বাংলাদেশের উন্নয়ন অব্যাহত রয়েছে। করোনার ক্ষয়ক্ষতি কাটিয়ে উঠার জন্য সবাইকে সম্মিলিতভাবে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান রাষ্ট্রপতি।
মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন কিশোরগঞ্জ-৫ (নিকলী-বাজিতপুর) সংসদ সদস্য মো. আফজাল হোসেন, রাষ্ট্রপতির বড় ছেলে কিশোরগঞ্জ-৪ (ইটনা-মিঠামইন-অষ্টগ্রাম) আসনের সংসদ সদস্য রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিক এবং রাষ্ট্রপতির সচিবরা।
মঙ্গলবার (১৬ নভেম্বর) বিকেল ৩টায় মিঠামইন থেকে হেলিকপ্টারযোগে কিশোরগঞ্জ শহরে যাবেন রাষ্ট্রপতি। রাতে শহরের খড়মপট্টিতে নিজ বাসায় অবস্থান করবেন তিনি। পরের দিন জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে স্থানীয়দের সঙ্গে মতবিনিময় করার কথা রয়েছে তার। ১৮ নভেম্বর দুপুরে ঢাকায় ফিরবেন রাষ্ট্রপতি।