এসটিএটি নিউজে বৃহস্পতিবার এ বিষয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে। সেখানে বলা হচ্ছে, যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক ফার্মাসিটিক্যাল কোম্পানি- গিলিয়াড সায়েন্সেসের এই ওষুধ ব্যবহারকারী রোগীদের অধিকাংশ সুস্থ হয়ে বাড়ি চলে গেছেন। মার্কিন গণমাধ্যম সিএনএন-ও এই খবর নিশ্চিত করেছে।
ব্লুমবার্গের আরেকটি প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, গিলিয়াড ফার্মার ওষুধ যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপ এবং কানাডায় করোনায় গুরুতর অসুস্থ ৫৩ ব্যক্তিকে দেওয়া হয়। তাদের কৃত্রিম শ্বাসপ্রশ্বাস যন্ত্র বা ভেন্টিলেটর দিয়ে জীবিত রাখা হয়েছিল।
এসব রোগীকে টানা ৬ দিন ধরে রেমডিসিভির ওষুধের নিয়মিত ডোজ দেওয়া হয়।
চিকিৎসকের বলছেন, কয়েক দিনের মাথায় ৬৮ শতাংশ বা তিন ভাগের দুইভাগ রোগীর শারীরিক অবস্থার উন্নতি হয়। এর ফলে যান্ত্রিক ব্যবস্থার মাধ্যমে শ্বাস নিচ্ছিলেন, এমন ৩০ জন রোগীর মধ্যে ১৭ জনের আর যন্ত্র ব্যবহারের প্রয়োজন হয়নি। প্রায় সবাই বাড়ি গেছেন।
‘সবচেয়ে ভালো খবর হল আমাদের অধিকাংশ রোগী সুস্থ হয়ে বাড়ি যাচ্ছেন। এখন দুইজন বাকি আছেন,’ ইউনিভার্সিটি অব শিকাগোর চিকিৎসক ডাঃ ক্যাথলিন মোলানে বলেন, ‘অধিকাংশ রোগী ৬ দিনের ভেতরই সুস্থ হয়েছেন। সর্বোচ্চ ডোজ দিতে হচ্ছে ১০ দিন।’
গত ফেব্রুয়ারিতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা থেকেও ওষুধটির ব্যাপারে আশা প্রকাশ করা হয়। কর্মকর্তারা জানান রেমডিসিভিরে কডিড-১৯ থেকে মুক্তি মিলতে পারে।
গিলিয়াড জানিয়েছে, ‘ওষুধটি বিশ্বের বিভিন্ন দেশের রোগীদের পরীক্ষামূলকভাবে দেয়া হলেও চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে আসতে সময় লাগবে। সব ডেটা বিশ্লেষণ করে তারপর বলা যাবে, ওষুধটি কতটা কার্যকরী।’