এ বিষয়ে রোববার (২৮ নভেম্বর) বিএসইসি থেকে সিএমএসএফের চেয়ারম্যানের কাছে একটি চিঠি দেওয়া হয়েছে। বিএসইসির সহকারী পরিচালক মো. মিনহাজ বিন সেলিম সই করা চিঠিতে ১০০ কোটি টাকা দ্রুত দেওয়ার কথা বলা হয়েছে।
চিঠিতে কমিশন স্বাধীনতার ৫০ বছরপূর্তি উপলক্ষে সিএমএসএল ফান্ডের পৃষ্টপোষকতায় ও আইসিবি অ্যাসেট ম্যানেজমেন্টের ব্যবস্থাপনায় ১০ বছর মেয়াদি ও স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্ত ‘সুবর্ণজয়ন্তী ফান্ড’ নামক মিউচ্যুয়াল ফান্ড গঠনের সম্মতি জানিয়েছে। উক্ত মিউচ্যুয়াল ফান্ডটিতে সিএমএসএফ প্রাথমিকভাবে ৫০ কোটি টাকা স্পন্সর হিসেবে বিনিয়োগ করবে।
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত প্রতিষ্ঠানের অনুমোদিত লভ্যাংশের অপরিশোধিত বা আদাবি করা অংশ পুঁজিবাজারের উন্নয়নে ব্যবহারের লক্ষ্যে 'ক্যাপিটাল মার্কেট স্ট্যাবিলাইজেশন ফান্ড' বা 'পুঁজিবাজার স্থিতিশীল তহবিল গঠন করা হয়। চলতি বছরের ৩ মে কমিশন সভা করে এ তহবিল গঠন করে বিএসইসি। আর গত ২৭ জুন এই তহবিলের গেজেট প্রকাশ করা হয়।
এরপর প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক মুখ্যসচিব এবং জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সাবেক চেয়ারম্যান নজিবুর রহমানকে চেয়ারম্যান করে এ বিষয়ে ১০ সদস্যের একটি বোর্ড গঠন করা হয়।
বোর্ডের সদস্যরা হলেন- বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক মো. সাইফুর রহমান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিন্যান্স বিভাগের অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর তানজিলা দীপ্তি, ভোরের কাগজের সম্পাদক শ্যামল দত্ত, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) তারেক আমিন, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) চেয়ারম্যান আসিফ ইব্রাহিম, সেন্ট্রাল ডিপোজিটরি বাংলাদেশ লিমিটেডের (সিডিবিএল) ভাইস চেয়ারম্যান এ কে এম নুরুল ফজল বুলবুল, সেন্ট্রাল কাউন্টারপার্টি বাংলাদেশ লিমিটেডের (সিসিবিএল) স্বাধীন পরিচালক মোহাম্মদ তারেক, বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব পাবলিকলি লিস্টেড কোম্পানিজের (বিএপিএলসি) সভাপতি এবং হিসাববিদ এ কে এম দেলোয়ার হোসেন।
এ তহবিলটি পরিচালনার জন্য ‘ক্যাপিটাল মার্কেট স্ট্যাবিলাইজেশন ফান্ড রুলস, ২০২১’ও প্রণয়ন করা হয়েছে। বিভিন্ন কোম্পানির অবিতরণ করা লভ্যাংশ এবং ব্রোকারেজ হাউস ও মার্চেন্ট ব্যাংকের কাছে তিন বছরের অধিক সময় পড়ে থাকা অর্থ-শেয়ার এ তহবিলে স্থানান্তর করা হবে। তিন বছরের হিসাব হবে লভ্যাংশ ঘোষণা বা অনুমোদনের দিন বা রেকর্ড ডেট থেকে। এক্ষেত্রে নগদ লভ্যাংশ বা অর্থ ব্যাংক হিসাবে জমা থাকায় কোনো সুদ অর্জিত হলে, তাও এ তহবিলে দিতে হবে।
তহবিলে শেয়ার বা টাকা হস্তান্তরের পরও তা দাবি করতে পারবেন সংশ্নিষ্ট বিনিয়োগকারী। নিজের দাবির প্রমাণসহ সংশ্নিষ্ট কোম্পানি বা সম্পদ ব্যবস্থাপক কোম্পানি বা ব্রোকারেজ হাউস বা মার্চেন্ট ব্যাংকের কাছে আবেদন করতে হবে। আবেদনের এক মাসের মধ্যে ওই বিনিয়োগকারীর শেয়ার বা টাকা ফেরত দেওয়া হবে।
সম্প্রতি শেয়ারবাজারে পতনের ধারা দেখা দিলে গত ১৬ নভেম্বর পুঁজিবাজারে তারল্য বাড়াতে গঠিত স্থিতিশীলতা তহবিল থেকে ১০০ কোটি টাকা আইসিবিকে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় বিএসইসি। ‘টিডিআর’ হিসেবে রাষ্ট্রায়ত্ত বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠান ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশকে এ অর্থ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তার পরিপ্রেক্ষিতেই এখন বিএসইসি এ ১০০ কোটি টাকা দ্রুত বিনিয়োগের নির্দেশ দিল।