তাই দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধায়নে ত্রাণ বিতরণের ব্যবস্থা করা গেলে প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্থ মানুষ উপকৃত হবে এবং সরকারের উদ্দেশ্যও সফল হবে। শুক্রবার (১৭ এপ্রিল) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন।
ওই বিবৃতিতে বেগম রওশন এরশাদ বলেন, বাংলাদেশসহ সারাবিশ্বের মানুষ প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের কারণে ভয়াবহ আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন। লকডাউন, আইসোলেশন, সেলফ কোয়ারেনটাইনে সম্পূর্ণরূপে থমকে পড়েছে স্বাভাবিক জনজীবন। এমন অবস্থা দেশের মানুষ কখনও দেখেনি।
দেশবাসীর উদ্দেশে তিনি বলেন, সরকারের নির্দেশনা পুরোপুরি মেনে চলুন। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে বের হওয়া থেকে বিরত থাকুন।
এই বিশ্বমহামারির মধ্যে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সারাদেশে কর্মরত চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মী, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, পুলিশসহ অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য, স্থানীয় প্রশাসন, গণমাধ্যম কর্মীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন রওশন এরশাদ।
রওশন এরশাদ বলেন, আক্রান্তদের সেবা দিতে গিয়ে চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীদের প্রয়োজনীয় টেস্ট কিট, পিপিইসহ সুরক্ষা সরঞ্জাম পেতে সমস্যায় পড়তে হয়েছে। ইতোমধ্যেই একজন চিকিৎসক মারা গেছেন। আরও অনেক চিকিৎসক আক্রান্ত হয়েছেন। এই অবস্থায় তাদের সুরক্ষা দিতে না পারলে পুরো চিকিৎসাব্যবস্থা ভেঙে পড়তে পারে। তাই অবিলম্বে চিকিৎসকদের পিপিই সংকটসহ সব ধরনের সমস্যার সমাধানের দাবি জানাই।
এছাড়াও, দ্রুততার ভিত্তিতে দেশের প্রতিটি উপজেলায় করোনাভাইরাস পরীক্ষার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ এবং প্রবীণ ও স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে থাকা নাগরিকদের চিকিৎসা সেবায় বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানান তিনি।
কোভিড-১৯ সংক্রমণের কারণে সব থেকে বিপদে পড়েছেন খেটে খাওয়া মানুষ, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী, কৃষি শ্রমিক, গার্মেন্টস ও শিল্প কারখানার শ্রমিক উল্লেখ করে তিনি বলেন, সরকার ইতোমধ্যেই গার্মেন্টসসহ বিভিন্নক্ষেত্রে আর্থিক প্রণোদনা ঘোষণা করেছে। সারাদেশে ত্রাণ ও খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। এজন্য সরকারকে ধন্যবাদ জানাই।