খাদ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, কর্মসূচি বাস্তবায়নে দেশজুড়ে চলছে তালিকা তৈরির কাজ। বিশাল এই কর্মযজ্ঞ ২২ এপ্রিলের মধ্যে শেষ হওয়ার কথা রয়েছে। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে তালিকা তৈরির কাজ শেষে হলে ওইদিন থেকেই চাল বিক্রি শুরু হবে।
ওএমএস কর্মসূচি বাস্তবায়নে বিভাগ ও জেলা পর্যায়ে সরকারের কমিটি রয়েছে। বিভাগীয় কমিশনারের নেতৃত্বে চলে বিভাগীয় কমিটি আর জেলা প্রশাসকের নেতৃত্বে চলে জেলা কমিটি। এই দুই কমিটি জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে সুবিধাভোগীদের তালিকা তৈরি করে।
সেইসঙ্গে এই তালিকায় কোনো ধরনের অসঙ্গতি রয়েছে কি-না তাও কমিটি প্রধানরা যাচাই করে থাকেন। এবারও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সহযোগিতায় কেবলমাত্র সিটি করপোরেশন ও পৌরসভায় বসবাসরত কর্মহীন, দরিদ্র, হতদরিদ্র কিংবা নিম্ন আয়ের মানুষদের তালিকা তৈরি করা হচ্ছে।
এ প্রসঙ্গে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মোছাম্মৎ নাজমানারা খানম বলেন, ওএমএস কমিটি ওই তালিকা অনুমোদনের পর বরাদ্দ অনুযায়ী কার্ড তৈরি হবে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী যারা কোনো ধরনের সহায়তা পাচ্ছে না, বিশেষ করে সরকারি সহায়তা থেকে বঞ্চিত- এমন জনগোষ্ঠীই এই কার্ডের আওতায় আসবে।
বিশ্বজুড়ে মহামারি রূপ ধারণ করা করোনাভাইরাসের প্রভাব পড়েছে বাংলাদেশেও। করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে গত ২৫ মার্চ সাধারণ ছুটি ঘোষণার পাশপাশি সব ধরনের জনসমাগম এড়াতে সব ধরনের যোগাযোগ, শিল্প কারখানা, পরিবহন ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করলে কর্মহীন হয়ে পড়ে স্বল্প আয়ের লাখ লাখ মানুষ। তাদের সুবিধা দেওয়ার পাশাপাশি সমাজের সরকারি সুবিধা বঞ্চিত কম আয়ের মানুষ এই কর্মসূচির আওতায় আসবেন।
খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব বলেন, এরই মধ্যে অনেক জেলায় তালিকা তৈরির কাজ শেষ হয়েছে। আগামী তিন-চারদিনের মধ্যে দেশের সবগুলো জেলায় তালিকা তৈরির কাজ শেষ হবে। সব মিলিয়ে আগামী ২২ এপ্রিল থেকে চাল বিক্রি শুরু করা যাবে। তবে যেসব জেলার তালিকা শেষ করে সুবিধাভোগীরা কার্ড হাতে পেয়েছে, সেসব জেলায় আগেই শুরু করতে পারবেন।