ভোজ্যতেলের প্রতি ভোক্তারা কেন আস্থা রাখতে পারছেন না, সে বিষয়টিও ভাবতে হবে বলে উল্লেখ করেন মন্ত্রী।
মঙ্গলবার (৭ ডিসেম্বর) ঢাকায় ইন্টারকন্টিনেন্টাল গ্রান্ড বল রুমে ‘ফুড সেফটি অ্যান্ড কোয়ালিটি এসেসমেন্ট অব ড্রাম অয়েল সোল্ড ইন মার্কেট’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেশ স্বাধীন হওয়ার পরেই মজুতদারি ও ভেজালের বিরুদ্ধে স্পেশাল অ্যাক্টে মামলা করে শাস্তির বিধান করেছিলেন। দীর্ঘ ৫০ বছর পরেও আমাদের ভেজালের বিরুদ্ধে কথা বলতে হচ্ছে।
২০২২ সালের ১৬ মার্চের পরে বাজারে খোলা তেল বিক্রি করতে দেওয়া হবে না উল্লেখ করে তিনি বোতলজাত/প্যাকেটজাত করে মানসম্পন্ন ভোজ্য তেল ভোক্তার কাছে সহজলভ্য করতে সংশ্লিষ্টদের এগিয়ে আসার আহবান জানান।
মন্ত্রী বলেন, মানহীন ভেজাল খাদ্য দক্ষ মানব সম্পদ গড়ার পথে অন্তরায়। দেশের জন্য দক্ষ মানব সম্পদ গড়তে ব্যবসায়ীদের ভূমিকা রাখতে হবে।
খাদ্যদ্রব্যে ভেজাল পরিহার করে মানবতার সেবায় অবদান রাখার আহবান জানিয়ে তিনি বলেন, ব্যবসায়ীরা সচেতন হলে ভোজ্যতেলে ভেজালের প্রবণতা অনেক কমে যাবে।
খাদ্যমন্ত্রী আরও বলেন, কোনটি ভালো পণ্য সেটা গ্রাহক বুঝতে পারছেন না। মোড়কের আড়ালে যে পণ্য আছে তার প্রতি আস্থা পাচ্ছে না।
বোতলে যে পণ্য আছে তার গুণাগুণ ও ক্ষতিকর দিক লিখে বাজারজাত করার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ভেজাল খাবারের কারণে ক্যান্সার ও হ্রদরোগে মানুষ আক্রান্ত হচ্ছে। চিকিৎসার জন্য অনেক টাকা ব্যয় হচ্ছে, চিকিৎসা নিতে দেশের বাইরে যেতে হচ্ছে।
অনুষ্ঠানে নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মো. আব্দুল কাইউম সরকারের সভাপতিত্বে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মোছাম্মৎ নাজমানারা খানুম ও শিল্প মন্ত্রণালয়ের সচিব জাকিয়া সুলতানা বক্তব্য রাখেন।
এতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন, গ্লোবাল অ্যালায়েন্স ফর ইমপ্রুভ নিউট্রেশন (গেইন) এর কান্ট্রি ডিরেক্টর ডা. রুদাবা খন্দকার। অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের সদস্য প্রফেসর ড. মো. আব্দুল আলীম।