করোনাভাইরাসের কারণে অনেক অনুষ্ঠান বাতিল করতে বাধ্য হয়েছেন জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশে করোনা ভাইরাসের থাবা এসে পড়েছে। সবাইকে এ ব্যাপারে সুরক্ষিত থাকতে হবে। আমাদের দেশের অনেকেই এটি ভালোভাবে মানতে চান না। যার ফলে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বেড়ে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, সারাবিশ্ব এই ভাইরাসের জন্য আতঙ্কিত। আমার মনে হয় বিশ্বে এ ধরনের পরিস্থিতি এর আগে কখনো তৈরি হয়নি। বিশ্বে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড স্থবির। এমনকি ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান মক্কা-মদিনা, মসজিদ, মন্দির, প্যাগোডা সবকিছু বন্ধ। বাংলাদেশেও বিশ্বের একটি দেশ। তাই যথাযথ ব্যবস্থা আমরা শুরু থেকেই নেয়া শুরু করেছি।
করোনা প্রতিরোধে সরকারের নেয়া বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা বর্ণনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যেসব নির্দেশনা দেয়া হয়েছে সেসব নির্দেশনা যেন সকলে মেনে চলেন। মানুষের সমাগম হয় সেখানে না থাকা, নিজেকে সুরক্ষিত রাখা, এটা একান্তভাবে প্রয়োজন। এটা জেনে করা হয়। ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর এসব জেলায় করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব বেশি। সাথে সাথে দেখতে পাচ্ছি কিছু কিছু জেলা আক্রান্ত হয়নি। এসব জেলায় যাতে প্রাদুর্ভাব ছড়িয়ে না পড়ে সেই ব্যবস্থা নিয়েছি।
করোনাভাইরাস প্রতিরোধে কর্মরত সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, করোনাভাইরাস সংক্রান্ত সব ধরনের নিরাপত্তা সরঞ্জাম সংগ্রহ করা হয়েছে। সবাই যেন এটি ব্যবহার না করে। যেগুলো সম্পূর্ণ রোগী দেখার জন্য সেগুলো রোগী দেখার জন্যই থাকবে। হাসপাতালে কর্মরত তাদের জন্যই শুধু ব্যবহার করা যাবে।
তিনি বলেন, এপ্রিল মাসটি আমাদের জন্য একটু কষ্ট হবে। এ মাসে সাবধানে থাকতে হবে। তারপরও ইউরোপ-আমেরিকায় যে পরিমাণ রোগ সংক্রমিত হয়েছে তার তুলনায় আমাদের দেশে কম। যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রসহ অনেক দেশে বাঙালি মারা গেছে সে তুলনায় সারাদেশে কম।