এ নিয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের জারি করা প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, করোনার কারণে ক্ষতির মুখে পড়া সিএমএসএমই খাতের উদ্যোক্তাদের চলতি মূলধন বাবদ ২০ হাজার কোটি টাকা বিশেষ ঋণ সুবিধা দেওয়া হয়। এই ঋণ নেওয়া সহজ করতে ২ লাখ থেকে ৫০ লাখ টাকা ঋণকে ক্রেডিট গ্যারান্টি স্কিমের আওতায় নেওয়া হয়।
তবে সিএমএসএমই খাতের প্রান্তিক উদ্যোক্তারা সহায়ক জামানতের অভাবে ঋণ পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ রয়েছে। তা ছাড়া এ খাতের প্রণোদনা প্যাকেজ বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে স্কিমের আওতায় সর্বোচ্চ ঋণের সীমা বাড়ানো প্রয়োজন। সে জন্য স্কিমের আওতায় ঋণের সীমা বাড়ানো হয়েছে।
সিএমএসএমই খাতে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের বিতরণ করা জামানতবিহীন ঋণের ঝুঁকি বহনের জন্য গত বছরের ২৭ জুলাই দুই হাজার কোটি টাকার একটি স্কিম গঠন করে বাংলাদেশ ব্যাংক। তহবিলের পরিমাণ ২ হাজার কোটি টাকা হলেও এর বিপরীতে ৬ হাজার ৬০০ কোটি টাকার ঋণের গ্যারান্টি দেওয়া যাবে। এই স্কিমের আওতায় বিতরণ করা কোনো ঋণ খেলাপি হলে তার ৮০ শতাংশ পর্যন্ত কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে পাবে সংশ্লিষ্ট ব্যাংক। এই স্কিমে সহায়তা দিতে এখন বিদেশি সহযোগী সংস্থাগুলো যুক্ত হচ্ছে।
এদিকে চলতি ২০২১–২২ অর্থবছরে এই খাতের উদ্যোক্তাদের জন্য ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো আবারও ২০ হাজার কোটি টাকা ঋণ দেওয়ার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে। ২৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত ঋণ অনুমোদন হয়েছে ৪ হাজার ৭১০ কোটি টাকা, যা মোট ঋণের ২৩ দশমিক ৮৩ শতাংশ। ঋণ পেয়েছেন ২ হাজার ৪৩৭ জন নারী উদ্যোক্তা। এসব ঋণের সুদহার ৯ শতাংশ, তবে এর মধ্যে সরকার ৫ শতাংশ ভর্তুকি দিচ্ছে।