সোমবার (৩ জানুয়ারি) তার বাসভবনে ব্রিফিংকালে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, বিএনপি মুখে মুক্তিযুদ্ধের কথা বললেও স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তিদের নিয়েই তাদের রাজনীতি। সাম্প্রদায়িক উগ্রবাদকে সাথে নিয়ে বিএনপি অসাম্প্রদায়িকতার কথা বলে।
সরকারের পতন-ঘণ্টা বেজে গেছে- বিএনপি নেতাদের এমন বক্তব্যে প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আসলে বিএনপি নেতারা এতটাই অন্ধ ও বধির যে, বহু আগেই জনগণ তাদের পতন-ঘণ্টা বাজিয়ে দিয়েছে, তা তারা শুনতে পায় না।
বিএনপি নেতাদের প্রতি প্রশ্ন রেখে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, আন্দোলন আর নির্বাচনে চরম ব্যর্থতায় কি তাদের শেষ ঘণ্টা বাজেনি? বিএনপির কথা ও কাজে মিল নেই। তাদের ডাবল স্ট্যান্ডার্ড নীতি তাদেরই রাজনীতির অন্যতম প্রধান বাধা।
তিনি বলেন, জনগণ কি চায়, কি চায় না- তার মানদণ্ড বা পরিমাপক হচ্ছে নির্বাচন। একটি সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠানে শেখ হাসিনা সরকার অত্যন্ত আন্তরিক।
ওবায়দুল কাদের বলেন, নির্বাচনের বাইরে গিয়ে অন্যকোন চোরাগলি খোঁজা গণতন্ত্রে সংবিধান সম্মত নয়। এ সকল অপতৎপরতা গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের বিপরীতে অবস্থান করছে। জনগণ চাইলে বিএনপিই ক্ষমতায় আসবে।
এ সময় বিএনপিকে কথামালার ফেনায়িত তরঙ্গ না তুলে নির্বাচনমুখী হওয়ার আহ্বান জানান আওয়ামী লীগের এই শীর্ষ নেতা।
বিএনপির বিভিন্ন জেলার কর্মসূচিতে সরকার বাধা দিচ্ছে- দলটির নেতাদের এমন অভিযোগকে ‘অপপ্রচার’ বলে দাবি করেন ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, তাদের মিথ্যাচার সর্বজনবিদিত। বাধাতো নয়ই বরং সরকার সহযোগিতা করেছে। সরকার সহযোগিতা না করলে এ পর্যন্ত ৩২ জেলায় সমাবেশ করতে পারত কি? বিএনপির অভ্যন্তরীণ কোন্দলের দায় সরকারের ওপর চাপানো তাদের স্বভাব।