সোমবার (১০ জানুয়ারি) সচিবালয়ে ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আপাতত আমরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করছি না। আমরা এ মাসের মধ্যেই সব শিক্ষার্থীর টিকার প্রথম ডোজ সম্পন্ন করবো। বর্তমানে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা টিকা থেকে বেশি পিছিয়ে রয়েছে। সে কারণে আগামীকাল মঙ্গলবার জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়, উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে বৈঠক করা হবে।
তিনি বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা রেখে নিয়মিত মনিটরিং করা হবে। সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে জাতীয় পরামর্শক কমিটির সঙ্গে প্রতি সপ্তাহে বৈঠক করা হবে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত আকারে শিক্ষার্থীদের সশরীরে ক্লাসে পাঠদান চালিয়ে নেওয়া হবে। এটি ধারাবাহিকভাবে চলবে।
দীপু মনি বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা রেখে শিক্ষার্থীদের ভ্যাকসিনেশনের প্রতি জোর দেওয়া হবে। যারা টিকা নিয়েছে তারা সশরীরে ক্লাসে উপস্থিত হবে। যারা এখনো টিকা নিতে পারেনি এবং অসুস্থ আছেন তারা বাসায় বসে অনলাইনে ক্লাসে যুক্ত হবে।
তিনি আরও বলেন, বর্তমানে শিক্ষার্থীরা রেজিস্ট্রেশন ছাড়াও নিজ নিজ আইডি কার্ড নিয়ে কেন্দ্রে গিয়ে টিকা নিতে পারবে। যাদের আইডি কার্ড নেই তারা রেজিস্ট্রেশন কার্ড নিয়ে গেলে টিকা পাবে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের তত্ত্বাবধানেও একসঙ্গে গিয়ে বা এককভাবে টিকা নেওয়া যাবে। ১২ বছরের ঊর্ধ্বে হলেই তাকে টিকা দেওয়া হবে। দ্রুত সময়ে শিক্ষার্থীদের টিকার আওতায় আনতে এ কার্যক্রম সহজ করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব আবু বকর ছিদ্দীক, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক সৈয়দ গোলাম ফারুক প্রমুখ।