এবিষয়ে বিএসইসির কমিশনার শেখ শামসুদ্দিন আহমেদ বলেন, ব্যাংকের লেনদেন চালু থাকলে সংক্রমণ যতই বাড়ুক পুঁজিবাজারের লেনদেন বন্ধ হবে না। তবে, বাংলাদেশ ব্যাংক যদি ব্যাংকিং সময়সীমা পুনঃনির্ধারণ করে তাহলে পুঁজিবাজারের লেনদেনের সময়সীমাও সে অনুযায়ী পুনঃ নির্ধারণ করা হবে। তিনি আরো বলেন, গত বছরের এপ্রিলে লকডাউন ও জুলাইয়ে শাটডাউনের মধ্যে ব্যাংকের সময়সীমার সঙ্গে সমন্বয় করে যেভাবে লেনদেন চলেছিল, সেভাবেই এবারও লেনদেন চলবে। কোনোভাবেই লেনদেন বন্ধ হওয়ার সম্ভাবনা নেই।
তিনি বলেন, লেনদেন চললেও সরকার ঘোষিত সব ধরনের সচেতনমূলক নির্দেশনা মেনেই পুঁজিবাজারে লেনদেন করা হবে। এক্ষেত্রে করোনা মহামারির নতুন ভেরিয়েন্ট ওমিক্রম থেকে বিনিয়োগকারীদের রক্ষা করতে হলে প্রথমে তাদের (বিনিয়োগকারীদের) সচেতন হতে হবে। সংক্রমন বাড়লে ট্রেডিং হাউজ বা ব্রোকারেজ হাউজে না যাওয়ার পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, লকডাউন ও শাটডাউনের সময় ব্রোকারেজ হাউজে না গিয়ে ঘরে বসেই অনলাইনে বা ফোনেই শেয়ার কেনাবেচার অর্ডার দিতে পারবেন বিনিয়োগকারীরা।
এর আগে ২০২০ সালের মার্চে দেশে করোনা সংক্রমণের পর সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হলে ৬৬ দিন পুঁজিবাজারে লেনদেন বন্ধ থাকে। তবে আলোচ্য সময়ে সীমিত পরিসরে ব্যাংকিং কার্যক্রম চালু থাকে।
২০২১ সালের ৫ এপ্রিল থেকে লকডাউনের ঘোষণা আসার পর বিএসইসি জানায়, ব্যাংক চললে পুঁজিবাজারও চলবে। তবে বাংলাদেশ ব্যাংক আনুষ্ঠানিক সিদ্ধান্ত নিতে দেরি করার পর লকাউনের আগে দুই কর্মদিবস বড় দরপতন হয়।
পরে বাংলাদেশ ব্যাংক যখন জানায়, সীমিত পরিসরে ব্যাংক চলবে, বিএসইসিও তখন সময় কমিয়ে লেনদেন চালানোর সিদ্ধান্ত নেয়। শুরুতে সে সময় ব্যাংক চালু থাকে আড়াই ঘণ্টা, পুঁজিবাজার চালু থাকে দুই ঘণ্টা। পরে কিছুদিন পর ব্যাংকে লেনদেনের সময় বাড়ে, সময় বাড়ে পুঁজিবাজারেও।