বাংলাদেশের অর্থনীতির ভিত্তি তিন খাতে: পরিকল্পনামন্ত্রী

বাংলাদেশের অর্থনীতির ভিত্তি তিন খাতে: পরিকল্পনামন্ত্রী
পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেছেন, প্রবাস আয়, রফতানি ও কৃষির উপর বাংলাদেশের অর্থনীতি দাড়িয়ে আছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, এই তিন খাতেই সরকারের অবদান রয়েছে। করোনাকালে আমরা প্রবাসীদের আয়ের উপর প্রণোদনা দিয়েছি যার কারণে তারা বৈধ পথে দেশে টাকা পাঠিয়েছেন এবং তারাই দেশের অর্থনীতির চাকা সচল রেখেছেন। আর ২০০৯ সালে ক্ষমতায় আসার পর মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কৃষিতে ভর্তুকি দিয়ে যাচ্ছেন। যার কারণে আমরা আমাদের কৃষিকে স্বচ্ছল রাখতে পেরেছি।

মঙ্গলবার (১১ জানুয়ারি) পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউট (পিআরআই) আয়োজিত এক ওয়েবিনারে তিনি এ আহ্বান জানান।

করোনা পরবর্তী সময়ে অর্থনীতির পুনরুদ্ধার এবং ভবিষ্যৎ করনীয় শীর্ষক এই ওয়েবিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন পিআরআই এর চেয়ারম্যান ড. জাইদি সাত্তার। সভাপতিত্ব করেন সংস্থাটির নির্বাহী পরিচালক ড. আহসান এইচ মনসুর। অন্যান্যদের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ পোশাক রফতানিকারক ও মালিক সমিতির (বিজিএমইএ) সভাপতি ফারুক হাসান প্রমুখ।

পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, রাজনৈতিক খোঁচাখুঁচির আর্থিক মূল্য নির্ধারণ করুন। আপনারা এখানে অনেক পণ্ডিত মানুষ আছেন। অনেক জ্ঞানী মানুষ আছেন। আপনারা অনেক কিছু নিয়ে গবেষণা করেন। আমি আপনাদের আহ্বান জানাবো সামাজিক রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব একে অন্যের সঙ্গে খোঁচাখুঁচির আর্থিক মূল্য কত তা খুঁজে বের করেন। নিশ্চয়ই তার আর্থিক ক্ষতি আছে। তা বের করে আমাদেরকে বলেন এই যে আপনারা যে খোঁচাখুঁচি করেন তার আর্থিক ক্ষতি এত টাকা।

এম এ মান্নান বলেন, বাংলাদেশের উন্নয়ন আজ সর্বত্র স্বীকৃত। বিশেষ করে করোনাকালীন সময়ে আমাদের অর্থনীতির উন্নয়ন সারাবিশ্বের চোখে পড়ার মত। আইএমএফ ও তাই বলছে। আর আপনাদের উপস্থাপনায় আজ এ বিষয়গুলো উঠে এসেছে। দারিদ্রতা এক সময় আমাদের অনেক ভুগিয়েছে কিন্তু আমরা এখন সে জায়গায় নেই। তবে আমাদের উন্নয়নকে অনেকেই ম্যাজিক বলে প্যারাডকস বলে। আমি মনেকরি এই শব্দগুলো অপমানকর। এই শব্দগুলো ব্যবহার করে আমাদের দেশের মানুষের শ্রমকে অপমান করা হয়।

তিনি আর বলেন, করোনাকালে প্রধানমন্ত্রীর সব থেকে বড় কৌশল ছিল সর্বাত্মক লকডাউন না দেওয়া। এতে যেটা হয়েছে তা অর্থনীতির জন্য সুখকর। তার ফল হিসেবে দেখতে পারছি এখন রফতানি আয় বাড়ছে বিশেষ করে পোশাকখাতে। তবে সামনের দিনে ওমিক্রনের কিছু চ্যালেঞ্জ আসতে পারে আশাকরি আমরা পূর্বের অভিঙ্গতা কাজে লাগিয়ে তা মোকাবিলা করতে পারব।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. সায়মা হক বিদিশা বলেন, আমারা দেখছি অর্থনীতি পুনরুদ্ধার হচ্ছে। তবে এই পুনরুদ্ধার সবার জন্য এক না। কেউ কেউ তার আগের অবস্থানের তুলনায় এখনও ফিরে যেতে পারেনি। বিশেষ করে যারা দিনমজুর, নিম্ন আয়ের মানুষ। শিক্ষায় আমাদের অনেক ক্ষতি হয়েছে। বাল্যবিবাহ বেড়েছে। এসব দিকে আগে আমাদের নজর দিতে হবে। সামনে বাজেট আসছে সেই বাজেটে সামাজিক নিরাপত্তাখাতে বরাদ্দ বাড়ানোর পাশাপাশি বিশেষ অঞ্চলকে গুরুত্ব দিতে হবে।

আর্কাইভ থেকে

আরও পড়ুন

রোহিঙ্গা সংকট নিরসনে জাতিসংঘে প্রধান উপদেষ্টার ৭ প্রস্তাব
জাতিসংঘে রোহিঙ্গা ও সংখ্যালঘু বিষয়ক সম্মেলনে প্রধান উপদেষ্টা
এনসিপিকে শাপলার বিকল্প প্রতীক নিতে চিঠি দেবে ইসি
শর্ত পূরণ করেছে এনসিপিসহ দুটি দল: ইসি
স্ত্রীসহ সাবেক এমপি আলী আজমের বিরুদ্ধে মামলা করবে দুদক
ফ্যাসিস্ট শক্তি মোকাবিলা করা বড় চ্যালেঞ্জ: আইজিপি
রোহিঙ্গা পরিস্থিতি নিয়ে জাতিসংঘের উচ্চপর্যায়ের সম্মেলন আজ
দূষিত বায়ুর তালিকায় ঢাকার অবস্থান দ্বিতীয়
আজ বিদ্যুৎ থাকবে না যেসব এলাকায়
বাংলাদেশে হিন্দুবিদ্বেষী কোনো সহিংসতা নেই: প্রধান উপদেষ্টা