মঙ্গলবার (১১ জানুয়ারি) প্রো-রাটার ভিত্তিতে আবেদনকারীদের মধ্যে শেয়ার বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।
প্রতি ১০ হাজার টাকার আবেদনের বিপরীতে বাংলাদেশী বিনিয়োগকারীরা ২৬টি শেয়ার আর প্রবাসী বিনিয়োগকারীরা ২০টি করে শেয়ার বরাদ্দ পেয়েছে।
আর কোম্পানিটিতে ১৫ কোটি টাকার বিপরীতে ২৯ গুন বেশি আবেদন জমা পড়েছে। গত ২৩ ডিসেম্বর থেকে ২৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত কোম্পানিটির আইপিওতে আবেদন জমা দেয় বিনিয়োগকারীরা।
শেয়ারবাজার থেকে অর্থ উত্তোলনে গত ৩ অক্টোবর নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) কোম্পানিটির আইপিও অনুমোদন করে।
বিডি থাই ফুড শেয়ারবাজার থেকে ১৫ কোটি টাকা উত্তোলনের জন্য প্রতিটি ১০ টাকা করে ১ কোটি ৫০ লাখ সাধারণ শেয়ার ইস্যু করে। এই শেয়ারের মধ্যে ১৫ শতাংশ শেয়ার এমপ্লয়ীদের মধ্যে ইস্যু করা যাবে। যা ২ বছর লক-ইন থাকবে।
শেয়ারবাজার থেকে কোম্পানিটি অর্থ উত্তোলন করে যন্ত্রপাতি ও সরঞ্জাম ক্রয়, দালানকোঠা নির্মান, ভূমি উন্নয়ন এবং আইপিও খরচ খাতে ব্যয় করবে।
কোম্পানিটির ২০২০ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত অর্থবছরের নিরীক্ষিত আর্থিক বিবরণী অনুযায়ী পুন:মূল্যায়ন ছাড়া নেট অ্যাসেটভ্যালু হয়েছে ১২.৮২ টাকা ও পুন:মূল্যায়নসহ ১৪.২৩ টাকা। বিগত ৫ বছরের ভারিত গড় হারে শেয়ারপ্রতি মুনাফা (ইপিএস) হয়েছে ০.৬৩ টাকা।
উল্লেখ্য, কোম্পানিটির বর্তমান পরিশোধিত মূলধন ৬৬ কোটি ৫০ লাখ টাকা। এই মূলধনের শেয়ারধারীরা লেনদেন শুরুর ৩ বছর পর্যন্ত কোম্পানিটির শেয়ার ক্রয়-বিক্রয় করতে পারবে না। এছাড়া কোম্পানির ইপিএস ১ টাকা না হওয়া পর্যন্ত উদ্যোক্তা/পরিচালকেরা লভ্যাংশ নিতে পারবেন না।
আইপিওতে কোম্পানিটির ইস্যু ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে নিয়োজিত রয়েছে- বিএলআই ক্যাপিটাল এবং ইউনিক্যাপ ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড।