বৃহস্পতিবার (১৩ জানুয়ারি) বেক্সিমকো গ্রীন সুকুক বন্ডের লেনদেনের উদ্বোধনীতে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম। অনুষ্ঠানে ডিএসই’র চেয়ারম্যান মো. ইউনুসুর রহমান সভাপতিত্ব করেন।
সালমান এফ রহমান বলেন, ব্রোকারেজ হাউজগুলোকে করপোরেট হতে হবে। এখনো আমাদের দেশে ব্রোকারেজ হাউজগুলোকে ব্রোকার মনে করা হয়। যে কারনে বিনিয়োগকারীরা নিজেরাই পোর্টফোলিও ম্যানেজ করে। এটা ব্রোকারেজ হাউজগুলোর করার কথা। কিন্তু এ জন্য ব্রোকারেজ হাউজগুলোকে সত্যিকারের ইনস্টিটিউট হতে হবে এবং তাদের প্রতি বিনিয়োগকারীদের আস্থা সৃষ্টি করতে হবে।
শেয়ারবাজারের উন্নয়নে সুদহার একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশে সুদ হার ১৭-১৮ শতাংশ বেশি বলে একসময় বলতেন। এই বেশির কারনে খেলাপি ঋণ বেশি হয় বলে জানাতেন তিনি। যে কারনে উনি সুদ হার কমানোর উদ্যোগ নেন। যার ধারাবাহিকতায় সুদ হার সর্বোচ্চ ৯ শতাংশ করে দেন।
তিনি বলেন, এফডিআর এর সুদ হার এখন ৬ শতাংশের নিচে। তবে আমাদের সুকুক বন্ড থেকে ৯ শতাংশ হারে দেওয়া হবে। এ কারনে বন্ডটি নিয়ে খুবই আশাবাদি ছিলাম। কিন্তু পাবলিকদের কাছ থেকে সেভাবে সাড়া পাইনি। তবে প্রাতিষ্ঠানিকদের অংশগ্রহন ভালো ছিল। পাবলিকদের সাড়া না পাওয়ার পেছনে সুকুক বন্ডটির বিষয়ে ভালোভাবে তুলে ধরতে না পারা কারন হিসেবে কাজ করেছে বলে আমার মনে হয়। অথচ এফডিআরওয়ালাদের জন্য সুকুক বন্ডটি খুবই আকর্ষনীয়।
তিনি আরও বলেন, আমি যেখানেই যাই সেখানেই শেয়ারবাজারের বড় দুটি সমস্যার কথা বলি। এরমধ্যে একটি কাঠামোগত সমস্যা। কারন আমাদের বাজার শুধুমাত্র ইক্যুইটিভিত্তিক বাজার, ডেবট বলতে পারেন নেই। এটি একটি বড় দূর্বলতা। তবে নতুন কমিশন দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই ডেবট মার্কেটের উন্নয়নে কাজ করছে।
বিশ্বের অন্যন্য দেশে ইক্যুইটি ও ডেবট মার্কেট রেশিও সমান সমান বলে জানান তিনি। অনেক দেশে ডেবট মার্কেটে আকার ইক্যুইটির চেয়ে বেশি। তাই আমাদের দেশে ডেবট মার্কেটের আকার বাড়াতে হবে।