গেল সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসের লেনদেন শেষে ডিএসইর বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৫ লাখ ৬৪ হাজার ৯৯৬ কোটি টাকা। যা তার আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে ছিল ৫ লাখ ৫৮ হাজার ৩১ কোটি টাকা। অর্থাৎ গেল সপ্তাহে ডিএসইর বাজার মূলধন বেড়েছে ৬ হাজার ৯৬৫ কোটি টাকা। আগের সপ্তাহে বাজার মূলধন বাড়ে ১৫ হাজার ৮৩৫ কোটি টাকা। এ হিসেবে নতুন বছরের প্রথম দুই সপ্তাহে বাজার মূলধন বাড়লো ২২ হাজার ৮০০ কোটি টাকা।
বাজার মূলধন বাড়া বা কমার অর্থ তালিকাভুক্ত প্রতিষ্ঠানগুলোর শেয়ার ও ইউনিটের দাম সম্মিলিতভাবে ওই পরিমাণ বেড়েছে বা কমেছে। অর্থাৎ বাজার মূলধন বাড়লে বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগ করা অর্থের পরিমাণ বেড়ে যায়। একইভাবে বাজার মূলধন কমলে বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগ করা অর্থের পরিমাণ কমে যায়।
বড় অঙ্কের বাজার মূলধন বাড়লেও গেল সপ্তাহে ডিএসইতে যে কয়টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে তার প্রায় দ্বিগুণ প্রতিষ্ঠানের দাম কমেছে। সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৪৬টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ২১৯টির। আর ১৯টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের দরপতনের পরও গত সপ্তাহে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ২৯ দশমিক ৭৮ পয়েন্ট বা দশমিক ৪৩ শতাংশ। আগের সপ্তাহে সূচকটি বাড়ে ২৩০ দশমিক ৭৯ পয়েন্ট বা ৩ দশমিক ৪২ শতাংশ। অর্থাৎ চলতি বছরের প্রথম দুই সপ্তাহে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক বাড়লো ২৬০ পয়েন্ট।
প্রধান মূল্যসূচকের পাশাপাশি গেল সপ্তাহে বেড়েছে ইসলামী শরিয়াহ ভিত্তিতে পরিচালিত কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই শরিয়াহ সূচক। গত সপ্তাহজুড়ে সূচকটি বেড়েছে ২৯ দশমিক ৫৬ পয়েন্ট বা ২ দশমিক শূন্য ১ শতাংশ। আগের সপ্তাহে সূচকটি বাড়ে ৪১ দশমিক শূন্য ৩ পয়েন্ট বা ২ দশমিক ৮৭ শতাংশ।
বাছাই করা ভালো কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচকও বছরের প্রথম দুই সপ্তাহ টানা বেড়েছে। গেল সপ্তাহজুড়ে এই সূচকটি বেড়েছে ১৩ দশমিক ২২ পয়েন্ট বা দশমিক ৫১ শতাংশ। আগের সপ্তাহে সূচকটি বাড়ে ৭০ দশমিক ৫০ পয়েন্ট বা ২ দশমিক ৭৮ শতাংশ।
গত সপ্তাহের প্রতি কার্যদিবসে ডিএসইতে গড়ে লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ৫৬৬ কোটি ৪৮ লাখ টাকা। আগের সপ্তাহে প্রতিদিন গড়ে লেনদেন হয় ১ হাজার ২৯৭ কোটি ৬৩ লাখ টাকা। অর্থাৎ প্রতি কার্যদিবসে গড় লেনদেন বেড়েছে ২৬৮ কোটি ৮৫ লাখ টাকা বা ২০ দশমিক ৭২ শতাংশ।
আর গত সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছে ৭ হাজার ৮৩২ কোটি ৪৪ লাখ টাকা। আগের সপ্তাহে লেনদেন হয় ৬ হাজার ৪৮৮ কোটি ১৫ লাখ টাকা। সে হিসাবে মোট লেনদেন বেড়েছে ১ হাজার ৩৪৪ কোটি ২৯ লাখ টাকা বা ২০ দশমিক ৭২ শতাংশ।
গত সপ্তাহে ডিএসইতে টাকার অঙ্কে সব থেকে বেশি লেনদেন হয়েছে বেক্সিমকোর শেয়ার। সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৪৭৩ কোটি ৮৮ লাখ ২ হাজার টাকা, যা মোট লেনদেনের ৬ দশমিক শূন্য ৫ শতাংশ। দ্বিতীয় স্থানে থাকা পাওয়ার গ্রিডের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৪২২ কোটি ৭৬ লাখ ৯২ হাজার টাকা। ৩৬৪ কোটি ২২ লাখ ৮ হাজার টাকা লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন।
এছাড়া লেনদেনের শীর্ষ ১০ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছে- ফরচুন সুজ, তিতাস গ্যাস, বাংলাদেশ সাবমেরিন কেবলস, লাফার্জাহোলসিম বাংলাদেশ, ডেল্টা লাইফ ইনস্যুরেন্স, ফারইস্ট ইসলামী লাইফ ইনস্যুরেন্স এবং জিপিএইচ ইস্পাত।