রোববার (১৬ জানুয়ারি) সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত এই নির্বাচনের ভোটগ্রহণ হয়। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তার দপ্তর থেকে ফল ঘোষণা শুরু হয়। এই নির্বাচনে এখন পর্যন্ত বড় ধরনের কোনো অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া যায়নি।
আইভী ও তৈমূর আলম ছাড়া মেয়র পদে অন্য প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা হলেন বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের এ বি এম সিরাজুল মামুন (দেয়ালঘড়ি), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মাছুম বিল্লাহ (হাতপাখা), বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির রাশেদ ফেরদৌস (হাতঘড়ি), বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের মো. জসিম উদ্দিন (বটগাছ) ও স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী কামরুল ইসলাম (ঘোড়া)।
এছাড়া নাসিকে কাউন্সিলর পদে সাধারণ ওয়ার্ডে ১৪৮ ও সংরক্ষিত নারী ওয়ার্ডে ৩৪ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ভোট দেওয়ার পরই নিজের জয়ের বিষয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করেছিলেন সেলিনা হায়াৎ আইভী। তিনি বলেছিলেন, ‘ভোট সুষ্ঠু হলে বিজয়ী হবো। নৌকা জিতবেই। জয়ের বিষয়ে শতভাগ নিশ্চিত।’
এছাড়া সকালে নগরের মাসদাইর এলাকায় নারায়ণগঞ্জ ইসলামিয়া কামিল (এমএ) মাদরাসা কেন্দ্রে ভোট দেন তৈমূর আলম খন্দকার। তিনি ভোট দেওয়ার পর বলেন, ‘সরকার বা নির্বাচন কমিশনের দৃশ্যমান কোনো কারচুপি না হলে জনগণের যেকোনো রায় মেনে নেবো।’
এদিকে, সব জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে শেষ সময়ে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের আদর্শ স্কুল কেন্দ্রে ভোট দিয়েছেন স্থানীয় সংসদ সদস্য শামীম ওসমান। ভোটগ্রহণ শেষ হওয়ার আধঘণ্টা আগে বিকেল ৩টা ৩০ মিনিটে তিনি ভোট দিতে আসেন। ভোট দেওয়া শেষে তিনি বলেন, নৌকা বিপুল ভোটে জয়ী হবে।
উল্লেখ্য, নাসিকের ২৭ ওয়ার্ডের ১৯২টি ভোটকেন্দ্রে এক হাজার ৩৩৩ ভোটকক্ষে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই নির্বাচনে মোট পাঁচ লাখ ১৭ হাজার ৩৬১ জন ভোটার ছিলেন।