এবারের কাস্টমস দিবসের মূল প্রতিপাদ্য ‘তথ্য সংস্কৃতি বিকাশ এবং তথ্য ইকোসিস্টেম বিনির্মাণের মাধ্যমে ডিজিটাল কাস্টমসের সম্প্রসারণ’। এতে তিনটি বিষয়ের ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে, ডিজিটাল কাস্টমসের সম্প্রসারণ, তথ্য-উপাত্ত চর্চা ও তথ্য প্রতিবেশ।
দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী পৃথক বাণী দিয়েছেন। চলমান করোনা মহামারির কারণে কাস্টমস দিবসে বড় ধরনের আয়োজন করছে না জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। তবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ভার্চুয়াল সেমিনার আয়োজন করেছে প্রতিষ্ঠানটি।
সকাল ১১টায় এনবিআর চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিমের সভাপতিত্বে সেমিনার অনুষ্ঠিত হবে। রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালের রূপসী বাংলা গ্র্যান্ড বলরুমে আয়োজিত সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থাকবেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী ও ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বারস অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফবিসিসিআই) প্রেসিডেন্ট মো. জসিম উদ্দিন ।
করোনা মহামারির মধ্যেও পিছিয়ে নেই কাস্টমসের অগ্রযাত্রা। চলতি অর্থবছরের ডিসেম্বর পর্যন্ত মোট রাজস্বের ৪১ হাজার ১৯৪ কোটি টাকা বাংলাদেশ কাস্টমস থেকে এসেছে। গত অর্থবছরের তুলনায় প্রবৃদ্ধি ২২ দশমিক ৪৪ শতাংশ। গত অর্থবছরে মোট রাজস্বের মধ্যে ৭৭ হাজার ১৫০ কোটি টাকা রাজস্ব আদায় হয়েছে এ বিভাগ থেকে।
এ বিষয়ে এনবিআর চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম বলেন, আমাদের পুরো বছরের টার্গেট ৯৬ হাজার কোটি টাকা, সেখানে ডিসেম্বর পর্যন্ত কাস্টমস খাতে ৪১ হাজার ১৯৪ কোটি টাকা রাজস্ব আদায় হয়েছে। আমরা আশা করছি, বছর শেষে কাস্টমসের ৯৬ হাজার কোটি টাকার যে লক্ষ্যমাত্রা, তা পূরণ করতে পারব।
তিনি বলেন, গত দুই বছর দেখেছি, আমাদের কাস্টমস সেক্টরের গ্রোথ ভালো। আয়কর ও ভ্যাটের চেয়ে কাস্টমসের রেভিনিউ কন্ট্রিবিউশনের শেয়ার কম হলেও গ্রোথের দিক থেকে গত দুই বছরে আমাদের কাস্টমস ভালো অবস্থায় আছে।
প্রতি বছরের ন্যায় এবারো বাংলাদেশসহ ওয়ার্ল্ড কাস্টমস অরগানাইজেশনের (ডব্লিউসিও) সদস্যভুক্ত ১৮৩টি দেশে একযোগে দিবসটি উদযাপন করা হচ্ছে। ২০০৯ সাল থেকে ওয়ার্ল্ড কাস্টমস অরগানাজেশন ২৬ জানুয়ারিকে কাস্টমস দিবস হিসেবে ঘোষণা করার পর থেকে বাংলাদেশ দিবসটি উদযাপন করছে।
১৯৫০ সালের ১৫ ডিসেম্বর ব্রাসেলসে কাউন্সিল অব কাস্টমস কো-অপারেশন (সিসিসি) গঠিত হয়। দুই বছর পর ১৯৫২ সালের ৪ নভেম্বর শুরু হয় এর কার্যক্রম। ১৯৫৩ সাল থেকে ২৬ জানুয়ারি এর প্রথম সেশনে ইউরোপের ১৭টি দেশ উপস্থিত ছিল। সেসব দেশ বিশ্বব্যাপী এর সাংগঠনিক কর্মকাণ্ডের সূচনা করে।
১৯৯৪ সালে কাউন্সিল অব কাস্টমস কো-অপারেশনের নাম পাল্টে গঠিত হয় ওয়ার্ল্ড কাস্টমস অরগানাইজেশন (ডব্লিউএইচও)। বর্তমানে ১৮৩টি দেশ এ সংগঠনের সদস্য। এ সংখ্যা ২০৩০ সালের মধ্যে ১৯৩টিতে উন্নীতের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে।