সংগঠনটির সভাপতি হেলাল উদ্দিন বলেছেন, প্রণোদনা থেকে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের জন্য এক হাজার কোটি টাকা নির্দিষ্ট করে দিতে হবে। যে টাকা ১ থেকে ১৫ জন শ্রমিক নিয়ে কাজ করে শুধু এমন প্রতিষ্ঠান পাবে। গতকাল সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) আয়োজিত ‘রানা প্লাজা ট্র্যাজেডির ৭ম বার্ষিকী- কোভিড-১৯ : সংকটের মুখে শ্রমিক ও মালিক-সরকারি উদ্যোগ ও করণীয়’ শীর্ষক এক ভার্চুয়াল আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এ দাবি জানান।
হেলাল উদ্দিন বলেন, ১ থেকে ১৫ জন শ্রমিক নিয়ে কাজ করে-এমন প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা প্রায় ৫৬ লাখ। আর তাদের শ্রমিকের সংখ্যা ১ কোটি ২০ লাখের মতো। জিডিপিতে এই ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের অবদান ১৫ দশমিক ৩ শতাংশ। করোনাভাইরাসের কারণে আমরা পহেলা বৈশাখ হারিয়েছি। আগামীতে রমজান আমাদের হারিয়ে যাবে-এটা আমরা বুঝতে পারছি।
দুই ধাপে প্রধানমন্ত্রী ১ লাখ কোটি টাকা প্রণোদনা দিয়েছেন ক্ষুদ্র, মাঝারি ও বৃহৎ প্রতিষ্ঠানের জন্য। দুঃখের বিষয় ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা এই সুবিধা নিতে পারবে না। কারণ বলা হচ্ছে, ব্যাংক ও গ্রাহক সম্পর্কের ভিত্তিতে এই ঋণ নিতে পারবে। কিন্তু ১ কোটি ২০ লাখ শ্রমিকের এই ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা ব্যাংকিং চ্যানেলে নেই।
সুতরাং এই ঋণ তারা পাবেন না। এজন্য প্রণোদনা প্যাকেজ থেকে ১ হাজার কোটি টাকা ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের জন্য নির্দিষ্ট করে দিতে হবে। যেখান থেকে ১ থেকে ১৫ জন শ্রমিক নিয়ে কাজ করেন শুধু এমন প্রতিষ্ঠান ঋণ নিতে পারবে। তা নাহলে এই ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা সরকারের প্রণোদনা থেকে বঞ্চিত হবেন। ব্যাংক তাদের ঋণ দেবে না।
তিনি আরও বলেন, জামানত ছাড়া ব্যাংক ঋণ দিতে চাইবে না। এজন্য ব্যবসায়ীদের ব্যাংক হিসাব খুলে দিতে হবে। ব্যাংক হিসাব খুলে চেক বই দেয়া হবে। ধরেন, একজন ৫০ হাজার টাকা ঋণ নেবে। এর বিপরীতে ৫৫ হাজার টাকার চেক লিখে ব্যাংকে জমা দিতে হবে। এটাই হবে জামানত। যেহেতু অগ্রিম চেক থাকবে। সুতরাং ব্যাংক যেকোন সময় এই টাকা আদায় করতে পারবে।