পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের হালনাগাদ তথ্য থেকে এটি জানা গেছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে কোভিড-১৯ সংক্রমণ শুরুর পর থেকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে।
এখন পর্যন্ত ভুটান, মালয়েশিয়া, যুক্তরাষ্ট্র, জাপান, রাশিয়া, জার্মানি, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, মালদ্বীপ, তুরষ্ক, যুক্তরাজ্য, সিঙ্গাপুরসহ বিভিন্ন দেশের চার হাজার ৪২২ জন নাগরিককে নিজ দেশে ফিরে যেতে সহযোগিতা করেছে বাংলাদেশ।
নিজ দেশে ফিরে যাওয়া যাত্রীদের বেশিরভাগই বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত। এসব যাত্রী নিজেরাই তাদের যাত্রার অর্থ সংস্থান করেছেন। এর বাইরে বাংলাদেশ চলমান বিভিন্ন উন্নয়ণ প্রকল্প যা এ মুহূর্তে স্থগিত অবস্থায় রয়েছে, সেই প্রকল্পগুলোতে কাজ করা বিদেশিরা নিজ দেশে ফিরে গেছেন।
অপরদিকে চীন, ভারত, নেপাল, সৌদি আরব, শ্রীলংকা, থাইল্যান্ড, ওমান এবং তুরষ্ক থেকে এক হাজার ৭৯৯ জন বাংলাদেশিকে দেশে প্রত্যাবাসন করা হয়েছে। এদের বেশিরভাগই তীর্থযাত্রী, শিক্ষার্থী, পর্যটক, রোগী ও রোগীর সহযোগী এবং ব্যবসায়ী।
মন্ত্রণালয় জানায়, বিদেশে বাংলাদেশ দূতাবাসগুলোকেও করোনাভাইরাস সংকটকালে প্রবাসী বাংলাদেশি ও কমিউনিটির প্রতি যত্ন নিতে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে বিদেশে থাকা বাংলাদেশ মিশনগুলো হটলাইন নম্বর চালু করেছে। সেইসঙ্গে অনলাইনে ডাক্তারের পরামর্শ সেবার জন্য ‘পুল অব ডক্টরস’ গঠন করেছে।
এছাড়া পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সমন্বয়ের মাধ্যমে মিশনগুলোতে অর্থ প্রেরণ করেছে। মিশনগুলো প্রয়োজনীয় খাদ্য ও অন্যান্য দ্রব্যাদি প্রবাসী বাংলাদেশিদের মধ্যে বণ্টন করেছে।
বেশিরভাগ ক্ষেত্রে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতেই এ খাদ্য ও অন্যান্য দ্রব্যাদির বণ্টন বেশি করা হয়েছে। এছাড়া সেনাবাহিনীর সহযোগিতায় ভুটান, মালদ্বীপ, চীন, কুয়েতসহ কয়েকটি দেশের উপহার হিসেবে সহযোগিতা পাঠিয়েছে বাংলাদেশ।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আরও জানায়, কোভিড ১৯ এর কারণে মধ্যপ্রাচ্যের বাজারে চাকরির ঝুঁকিতে থাকা শ্রমিকদের চাকরির নিশ্চয়তা চেয়েছে বাংলাদেশ। বিশেষ করে গৃহকর্মীদের চাকরির নিশ্চয়তা চেয়েছে বাংলাদেশ। ইসলামি সহযোগিতা সংস্থার (ওআইসি) নির্বাহী কমিটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের বিশেষ বৈঠকে সদস্য রাষ্ট্রগুলোকে এ অনুরোধ জানায় বাংলাদেশ।
এছাড়া সদস্য রাষ্ট্রগুলোর স্বেচ্ছায় অনুদান প্রদানের মাধ্যমে একটি কোভিড-১৯ রেসপন্স অ্যান্ড রিকোভারি ফান্ড গঠনে এই সভায় বাংলাদেশ একটি প্রস্তাবনা রাখে।
এছাড়া সদস্য রাষ্ট্রগুলোর মানবিক সহযোগিতাকারী সংস্থাগুলোকে পর্যাপ্ত অর্থ এবং চিকিৎসা সহযোগিতা দেয়ার আহ্বান জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী যাতে এলডিসি দেশগুলোর থেকে যাওয়া অভিবাসী শ্রমিকদের সহযোগিতা করতে পারে।
এছাড়া প্রবাসী বাংলাদেশিদের স্বার্থে করোনা সংকটকালে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বিভিন্ন দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে চিঠি পাঠিয়েছেন। আর কিছু দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে তিনি ফোনেও কথা বলেছেন।