গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মার্কিন সংস্থা সিডিসি’র কাছে কিট হস্তান্তর করেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র ট্রাস্টের সভাপতি অধ্যাপক আলতাফুন্নেসা। এছাড়া বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাসহ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানকে কিট পরীক্ষা ও মতামতের জন্য নমুনা পাঠানো হবে।
গণস্বাস্থ্যের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী অনুষ্ঠানে বলেন, ‘আমরা আশা করছি সরকার এ কিট যাচাই বাছাই করে খুব দ্রুত অনুমোদন দেবে। অনুমোদন প্রাপ্তির সঙ্গে সঙ্গে উৎপাদন শুরু করবো। পর্যায়ক্রমে এক লাখ কিট দেওয়া সম্ভব হবে।’
করোনা শনাক্তকরণের ‘GR COVID-19 Dot Blot’ কিট তৈরির জন্য গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের গবেষকদের দলটি কাজ করছে ড. বিজন কুমার শীলের নেতৃত্বে। বাকি গবেষকরা হলেন—ড. নিহাদ আদনান, ড. মোহাম্মদ রাঈদ জমিরউদ্দিন, ড. ফিরোজ আহমেদ।
এর আগে ১১ এপ্রিল কিট হস্তান্তর করা হবে বলে জানিয়েছিল গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র। কিন্তু বৈদ্যুতিক বিপর্যয়ের কারণে কিট উৎপাদন বাধাগ্রস্ত হয়।
জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, বৈদ্যুতিক বিপর্যয়ের কারণে কিটের পুরো ব্যাচটিই নষ্ট হয়ে যায়। তাদের নিজস্ব জেনারেটর চালু হতে ৩০ সেকেন্ড সময় লাগে। ওই সময়ের মধ্যেই নষ্ট হয়ে যায় কিটগুলো। সে কারণে ঘোষিত সময়ে কিট সরবরাহ করা সম্ভব হয়নি।
কভিড-১৯ ডট ব্লট প্রকল্পের আওতায় গণস্বাস্থ্য প্রথম দফায় এক লাখ কিট উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করেছে। বিজ্ঞানী বিজন কুমার শীল ও তার দল যে কিটটি উৎপাদনের চেষ্টা করছেন সেটি কোনো ব্যক্তি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত কিনা তা ১৫ মিনিটে নির্ণয়ে সক্ষম। ভাইরাসটি শরীরে প্রবেশের ৭২ ঘণ্টা পর এই কিটটি তা শনাক্ত করতে পারবে।