বেক্সিমকোর প্রভাবে উত্থানে ফিরল শেয়ারবাজার

বেক্সিমকোর প্রভাবে উত্থানে ফিরল শেয়ারবাজার
টানা দুইদিন পতনের পর সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে দেশের শেয়ারবাজার সামান্য উত্থানে ফিরেছে। উত্থানের দিনে বড় প্রভাব ছিল বহুজাতিক কোম্পানি বেক্সিমকো লিমিটেডের।

বুধবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সব সূচকই বেড়েছে। তবে আগের দিনের তুলনায় লেনদেন কিছুটা কমেছে।

আজ ডিএসইর প্রধান সূচক ‘ডিএসইএক্স’ আগের দিনের তুলনায় ৬ পয়েন্ট বেড়েছে। বর্তমানে সূচকটি ৭ হাজার ৪৩ পয়েন্টে অবস্থান করছে।

বাছাই করা কোম্পানিগুলোর সূচক ‘ডিএসই৩০’ বেড়েছে ৯ পয়েন্ট। এছাড়াও শরীয়াহভিত্তিক কোম্পানিগুলো নিয়ে গঠিত ‘ডিএসইএস’ বেড়েছে ১ পয়েন্ট।



দুইদিন পতনের পর আজ সূচককে উত্থানে ফেরাতে বড় ভূমিকা রেখেছে বেক্সিমকো লিমিটেড। কোম্পানিটির শেয়ারদর বৃদ্ধি পাওয়ায় আজ সূচকে ৪১ পয়েন্ট যোগ হয়েছে।

বেক্সিমকো ফার্মা এবং ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশের (আইসিবি) কারণে সূচক পেয়েছে আরও ২২ দশমিক ০৪ পয়েন্ট।

এছাড়াও ইউনাইটেড পাওয়ার গ্রিড, ফরচুন সুজ, একমি ল্যাবরেটরিজ, পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি, লাফার্জ হোলসিম, বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন এবং ওরিয়ন ফার্মা মিলে সূচকে যোগ করেছে আরও ২৩ দশমিক ১২ পয়েন্ট।

এই দশ কোম্পানির শেয়ারদর বৃদ্ধির কারণে সূচকে যোগ করেছে ৮৬ দশমিক ১৫ পয়েন্ট।

সূচকের বড় উত্থানে বাঁধা ছিল স্কয়ার ফার্মা, ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো, ওয়ালটন হাই-টেক। এই তিন কোম্পানির কারণে সূচক হারিয়েছে ৩০ দশমিক ৬৩ পয়েন্ট।

ব্র্যাক ব্যাংক, তমিজউদ্দিন টেক্সটাইল, ম্যারিকো, রবি, বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবল কোম্পানি, ইউনিক হোটেল অ্যান্ড রিসোর্ট এবং ডাচ-বাংলা ব্যাংক লিমিটেডের কারণে সূচক কমেছে আরও ২৯ দশমিক ৮৬ পয়েন্ট।

এই দশ কোম্পানি মিলে সূচক কমিয়েছে ৬০ দশমিক ৪৯ পয়েন্ট।

বুধবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে টাকার অংকে ১ হাজার ২১৩ কোটি ৬৪ লাখ টাকা শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। গতকাল (মঙ্গলবার) লেনদেনের পরিমাণ ছিল ১ হাজার ২৩১ কোটি ৭ লাখ টাকা।

বুধবার লেনদেনের শীর্ষে উঠে এসেছে বেক্সিমকো লিমিটেড। এদিন ডিএসইতে কোম্পানিটির ১৩৭ কোটি ৩৩ লাখ টাকা মূল্যের ৯২ লাখ ১৫ হাজার ৩২৪টি শেয়ার লেনদেন হয়েছে।

৫০ কোটি ২৬ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন করে তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে আছে ফরচুন সুজ। আর তালিকার তৃতীয় স্থানে থাকা ওরিয়ন ফার্মার ৪৫ কোটি ৭৮ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।

সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে ডিএসইতে মোট ৩৭৭টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এসব কোম্পানির মধ্যে ১৩৯টি কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে, কমেছে ১৬২টির। বাকি ৭৬টি কোম্পানির শেয়ারদর আজ অপরিবর্তিত ছিল।

আজ ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে দরবৃদ্ধির শীর্ষে ছিল স্টাইলক্রাফট। একদিনে যতটুকু বৃদ্ধি সম্ভব ততটুকুই বেড়েছে কোম্পানিটির শেয়ারদর। গতকাল কোম্পানিটির ক্লোজিং দর ছিল ১১৮ টাকা ৮০ পয়সা। আজ লেনদেন শেষে কোম্পানিটি শেয়ার সর্বশেষ ১৩০ টাকা ৬০ পয়সায় লেনদেন হয়। অর্থাৎ স্টাইলক্রাফটের শেয়ারদর আজ ১১ টাকা ৮০ পয়সা বা ৯ দশমিক ৯৩ শতাংশ বেড়েছে।



তালিকার দ্বিতীয় স্থানে থাকা রহিম টেক্সটাইলের শেয়ারদর বেড়েছে ৮ দশমিক ৭৪ শতাংশ। আর শেয়ারদর ৭ দশমিক ৪২ শতাংশ বৃদ্ধি পাওয়ায় আরামিট সিমেন্ট দরবৃদ্ধি তালিকার তৃতীয় স্থানে অবস্থান করছে।

এছাড়াও, দর বৃদ্ধির তালিকায় উঠে আসা অন্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে এপেক্স ট্যানারির ৭ দশমিক ১১ শতাংশ, ফার্মা এইডসের ৬ দশমিক ৯৮ শতাংশ, ইয়াকিন পলিমারের ৬ দশমিক ৯৫ শতাংশ, রংপুর ফাউন্ড্রির ৫ দশমিক ৯৯ শতাংশ, এপেক্স স্পিনিংয়ের ৫ দশমিক ৮৫ শতাংশ, এপেক্স ফুডসের ৫ দশমিক ৭৯ শতাংশ এবং শমরিতা হসপিটালের শেয়ার দর ৫ দশমিক ২০ শতাংশ বেড়েছে।

বেশিরভাগ কোম্পানির দরপতনের দিন সবচেয়ে বেশি শেয়ারদর কমেছে তমিজউদ্দিন টেক্সটাইলের। কোম্পানিটির শেয়ারদর আগের দিনের তুলনায় আজ ৭ দশমিক ৩০ শতাংশ কমেছে।

এছাড়াও, ইউনিয়ন ইন্স্যুরেন্সের ৬ দশমিক ৪৯ শতাংশ, রহিমা ফুডের ৪ দশমিক ২৯ শতাংশ, সিলকো ফার্মার ৩ দশমিক ৮৪ শতাংশ, স্যালভো কেমিক্যালের ৩ দশমিক ৭৯ শতাংশ, শ্যামপুর সুগারের ৩ দশমিক ৬৭ শতাংশ, পিপলস ইন্স্যুরেন্সের ৩ দশমিক ৪৩ শতাংশ, বিডি থাইফুডের ৩ দশমিক ১৫ শতাংশ, কে এন্ড কিউর ২ দশমিক ৯৬ শতাংশ এবং অ্যাপেলো ইস্পাতের শেয়ারদর ২ দশমিক ৯৪ শতাংশ কমেছে।

আর্কাইভ থেকে

আরও পড়ুন

ফু-ওয়াং সিরামিকের লভ্যাংশ অনুমোদন
এক বছরে ডিএসইর বাজার মূলধন বেড়েছে ২০ হাজার কোটি টাকা
ডিএসইতে মোবাইল গ্রাহক-লেনদেন দুটোই কমেছে
বছরজুড়ে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তির অনুমোদন পেয়েছে ৯ কোম্পানি
পুঁজিবাজারে লেনদেন বন্ধ আজ
বছরের ব্যবধানে পুঁজিবাজারে লেনদেন বেড়েছে ৪০ শতাংশ
রবিবার পুঁজিবাজার বন্ধ থাকলেও চলবে দাপ্তরিক কার্যক্রম
লোকসানে ৮ খাতের বিনিয়োগকারীরা
সাপ্তাহিক রিটার্নে মুনাফায় ১০ খাতের বিনিয়োগকারীরা
খাতভিত্তিক লেনদেনের শীর্ষে প্রকৌশল খাত