এর আগে করোনা মোকাবেলায় নারী নেতৃত্বে সফলতা বেশি আসছে বলে এক প্রতিবেদনে জানায় ফোর্বস ম্যাগাজিন। তখনও করোনার সংক্রমণ বাংলাদেশে সেভাবে দেখা যায়নি। এ সময় ৬ জন নারী নেতৃত্বের কথা উল্লেখ করা হয়। কিন্তু এই প্রতিবেদনের দ্বিতীয় পর্বে সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়া করোনা মোকাবেলায় বিভিন্ন দেশের কার্যক্রম পর্যালোচনা করে নতুন করে ৮ নারী নেতৃত্বের নাম ঘোষণা করা হয় যেখানে রয়েছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
যুক্তরাষ্ট্রের জনপ্রিয় ফোর্বস ম্যাগাজিন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এগিয়ে যাওয়া বাংলাদেশের প্রশংসা করে লেখেন, প্রায় ১৬ কোটিরও বেশি মানুষের বসবাস বাংলাদেশে। সেখানে দুর্যোগ কোন নতুন ঘটনা নয়। আর এই করোনা মোকাবেলার ক্ষেত্রে দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে ভুল করেননি তিনি (শেখ হাসিনা)। তার এই তড়িৎ সিদ্ধান্তের প্রশংসা করে ওয়ার্ল্ড ইকনোমিক ফোরাম (উই ফোরাম) বিষয়টিকে 'প্রশংসনীয়' বলে উল্লেখ করেছে। বাংলাদেশে সবচাইতে দীর্ঘ সময় প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্বে থাকা শেখ হাসিনা ফেব্রুয়ারির শুরুতেই চীনে থাকা বাংলাদেশিদের দেশে ফিরিয়ে নিয়ে আসার পদক্ষেপ গ্রহণ করেন। মার্চের শুরুতে প্রথম সংক্রমণের বিষয়টি নিশ্চিত হবার সঙ্গে সঙ্গে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করেন এবং কম গুরুত্বপূর্ণ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোকে অনলাইনে কার্যক্রম পরিচালনার নির্দেশ দেন। তিনি দেশের সকল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে করোনা রোগী শনাক্ত করতে স্ক্রিনিংয়ের জন্য মেশিন ব্যবহার করেন যেখানে এখন পর্যন্ত ৬ লাখ ৫০ হাজার মানুষকে পরীক্ষা করা হয়েছে (এদের মধ্যে ৩৭ হাজার মানুষকে দ্রুত কোয়ারেন্টাইনে প্রেরণের নির্দেশ দেয়া হয়), যা এখনো যুক্তরাজ্য কার্যকর করতে পারেনি।
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর পাশাপাশি এই তালিকায় আরো রয়েছেন বলিভিয়ার নেতৃত্ব দেয়া জেনাইন অ্যানেজ, ইথিওপিয়ার সাহলে-ওর্ক জেওডে, জর্জিয়ার সালোমেজ জওরাবিচভিলি, হংকংয়ের ক্যারি লাম, নামিবিয়ার সারা কুগংগেলোয়া, নেপালের বিদ্যা দেবী বান্দ্রে এবং সিঙ্গাপুরের হালিমাহ ইয়াকব।
এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের জনপ্রিয় ফোর্বস ম্যাগাজিন দাবি করছে, বিশ্বের যে সব দেশে করোনার লাগাম টেনে ধরতে পেরেছে সেগুলোর নেতৃত্বে রয়েছে নারীরা। ম্যাগাজিনটিতে উদাহরণস্বরূপ জার্মান, তাইওয়ান, আইসল্যান্ড , নিউজিল্যান্ড, ফিনল্যান্ড ও ডেনমার্কের কথা বলা হয়।