রোববার (২৬ এপ্রিল) প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিবের কাছে পাঠানো এক চিঠিতে সংগঠনটির সভাপতি কাজী ইফতেখার হোসাইন এ প্রস্তাব দেন।
গার্মেন্টস খোলার সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানিয়ে চিঠিতে বলা হয়,তৈরি পোশাক কারখানায় চল্লিশ লাখ শ্রমিক কাজ করেন, যারা এখনও দরিদ্রসীমার নিচে বাস করে, স্বল্প শিক্ষিত এবং করোনাভাইরাসের সংক্রমণের স্বাস্থ্যবিধি সম্পর্কে ততটা সচেতন নয়। এদিকে পবিত্র রমজা মাস চলছে, সামনে ঈদ।
এই সময়ে বিশাল শ্রমজীবী মানুষকে নিরাপদ কর্ম এলাকা, কর্মস্থলে অসংক্রমিত যাতায়াত, নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা, নিরাপদ বাসস্থান নিশ্চিত করা দরকার। এসব নিশ্চিত করতে প্রয়োজনে একাধিক শিফট চালু করা যেতে পারে।
চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, এই শ্রম শিল্পে শ্রমিক ও অন্যান্য কর্মী সুস্থ রাখার স্বার্থে পরীক্ষামূলকভাবে প্রশাসনের নজরদারিতে কোনো নির্দিষ্ট এলাকায় প্রথমে কারখানা খোলা রাখা যেতে পারে। শ্রমজীবী মানুষের সুস্থতা ও নিরাপত্তা শুধু কারখানা মালিকের ওপর ছেড়ে দেয়া সঙ্গত হবে না।
সেজন্য প্রশাসন, স্বাস্থ্য অধিদফতর, পরিবহন, শ্রম পরিদর্শক বিভাগসহ সংশ্লিষ্ট সবার নিয়মিত নজরদারি প্রয়োজন। অন্যথায় বিগত সময়ের মতো ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটতে পারে। এবং বিদেশে পোশাক রফতানিতে নেতিবাচক প্রতিক্রিয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
এ পরিস্থিতিতে তৈরি পোশাক কারখানায় সংক্রমণ নিরোধ ব্যবস্থা, শ্রমিকের নিরাপত্তা, করোনাভাইরাস সংক্রমণে সচেতনতা, সামাজিক দূরত্ব রক্ষা ও স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণে সরকারের সর্বাত্মক সহযোগিতা প্রয়োজন। এই সতর্কতা শিল্প কারখানার জন্য একান্ত আবশ্যক বলে মনে করে সংগঠনটি।
এদিকে করোনাভাইরাসের ঝুঁকির মধ্যেই রোববার থেকে সীমিত আকারে চালু হয়েছে গার্মেন্টস। ধাপে ধাপে খুলবে সব পোশাক কারখানা। প্রথমদিন পাঁচশটির বেশি গার্মেন্টস খোলা ছিল।