এদিকে, চলতি বছরে জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর- তিন মাসে রফতানি হবে মোট সাড়ে চার কোটি পিস অটো ডিজেবল (এডি) সিরিঞ্জ। এজন্য জাতিসংঘের শিশু উন্নয়ন তহবিলের কাছ থেকে (ইউনিসেফ) ক্রয়াদেশ হাতে পেয়েছে জেএমআই সিরিঞ্জেস অ্যান্ড মেডিক্যাল ডিভাইসেস লিমিটেড (জেএসএমডিএল)।
জানা যায়, ২০২৩ সালের জুন পর্যন্ত সিরিঞ্জ সরবরাহ করতে জেএমআইকে চাহিদাপত্রও দিয়েছে ইউনিসেফ।
করোনার টিকা দেওয়ার জন্য ব্যবহৃত অটো ডিজেবল (এডি) সিরিঞ্জ এক ধরনের বিশেষায়িত পণ্য, যা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পিকিউএস সনদ নিয়ে বিশ্বের অল্প সংখ্যক প্রতিষ্ঠান উৎপাদন করে থাকে। করোনা মহামারীর কারণে বিশ্বব্যাপী এ পণ্যটির সরবরাহ সংকট চলছে। দেশের একমাত্র এডি সিরিঞ্জ তৈরিকারক প্রতিষ্ঠান জেএমআই সিরিঞ্জেস অ্যান্ড মেডিক্যাল ডিভাইসেস লিমিটেড।
২০১২ সাল থেকে জেএমআই সিরিঞ্জেস অ্যান্ড মেডিক্যাল ডিভাইসেসের রয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সনদ। যার মাধ্যমে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে পণ্য রফতানি করতে পারে প্রতিষ্ঠানটি। গত জুনে বৈশ্বিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান মার্কেটস অ্যান্ড রিসার্চ ডট বিজ প্রকাশিত গবেষণায় ২০২০ সালের গ্লোবাল অটো ডিজেবল (এডি) সিরিঞ্জ ইনজেক্টর মার্কেট-এ আধিপত্যকারী প্রতিষ্ঠানের তালিকায় নাম উঠে আসে জেএমআই সিরিঞ্জেস অ্যান্ড মেডিকেল ডিভাইসেস লিমিটেডের। এছাড়াও চলতি বছরের মার্চে নিউ ইয়র্ক রির্পোটসের এক প্রতিবেদনেও গ্লোবাল মার্কেট লিডারদের তালিকায় শীর্ষ অবস্থান অর্জন করে প্রতিষ্ঠানটির উৎপাদিত এডি সিরিঞ্জ।
এছাড়া পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত এই প্রতিষ্ঠানে রয়েছে জাপানের বহুজাতিক প্রতিষ্ঠান নিপ্রো করপোরেশনের বিনিয়োগ। এই প্রতিষ্ঠানটি ২০০৬ সাল থেকে সরকারের সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচিতে (ইপিআই) নিরবচ্ছিন্নভাবে সিরিঞ্জ সরবরাহ করে আসছে। বিগত দেড় দশকের বেশি সময় ধরে দেশে এক দিন থেকে ১৪ বছর বয়সী শিশুদের টিকাদানে সব সিরিঞ্জ সরবরাহ করেছে জেএমআই।