সোমবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) অধিদপ্তরের টিকাদান সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, তিন দিনের বিশেষ ক্যাম্পেইনের দ্বিতীয় দিনে রোববার (২৭ ফেব্রুয়ারি) সারা দেশে প্রায় ২৮ লাখ ডোজ (২৭ লাখ ৯৩ হাজার ১১৭ ডোজ) টিকা দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে টিকার প্রথম ডোজ ১১ লাখ ৩৩ হাজার ৭৭৫, দ্বিতীয় ডোজ ৭ লাখ ৭৪ হাজার ৪৩৮ ও বুস্টার ডোজ নেন ৮৪ হাজার ৯০৪ জন।
এর আগের ক্যাম্পেইনের প্রথম দিনে (২৬ ফেব্রুয়ারি) প্রথম ডোজ টিকা নেন ১ কোটি ১১ লাখ ৭৪ হাজার ৭২৫ জন। দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ৮ লাখ ১৫ হাজার ৭৩ জন। এছাড়া বুস্টার ডোজ নিয়েছেন আরও ৭৩ হাজার ৮৫৫ জন। সবমিলিয়ে বিশেষ টিকাদান কর্মসূচির প্রথম দিনেই রেকর্ড ১ কোটি ২০ লাখ ৬৩ হাজার ৬৫৩ ডোজ টিকা দেওয়া হয়।
বিশেষ এ টিকা কর্মসূচিতে এত সংখ্যক মানুষকে টিকা দেওয়ায় বিশ্বে টিকাদানে রেকর্ড হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। তিনি বলেন, বাংলাদেশ এখন টিকাদানে বিশ্বে দশম। গত ২৬ ফেব্রুয়ারি এক কোটি টিকা দেওয়ার কর্মসূচি ছিল, স্বাস্থ্য বিভাগের সব পর্যায়ের লোকদের প্রচেষ্টায় এটি সফলভাবে করতে পেরেছি। এটি অনেক বড় অর্জন। এতে করে মোট জনগোষ্ঠীর ৭৩ শতাংশকে টিকার আওতায় আনা গেল।
এর আগে গত ২৬ ফেব্রুয়ারি একদিনের জন্য বিশেষ এ কর্মসূচি চালু হলেও ওই দিন সারা দেশের লাখ লাখ মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে টিকাকেন্দ্রে দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে টিকা নেন। মানুষের অভূতপূর্ব সাড়া পাওয়ায় বিশেষ ক্যাম্পেইনের কার্যক্রমের মেয়াদ আরও দুই দিন বাড়িয়ে সোমবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) পর্যন্ত করা হয়।
দেশে গত বছর ২৭ জানুয়ারি সরকারি উদ্যোগে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে করোনার টিকাদান কার্যক্রম শুরু হয়। ওই দিন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাজধানীর কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউট উৎপাদিত অক্সফোর্ডের অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার মাধ্যমে কর্মসূচির উদ্বোধন করেন। পরে ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে গণটিকাদান কার্যক্রম শুরু হয়।
বর্তমানে দেশে অ্যাস্ট্রাজেনেকার, ফাইজার, সিনোফার্ম, মডার্না, সিনোভ্যাক ও জনসন অ্যান্ড জনসনের টিকা দেওয়া হচ্ছে।