জানা যায়, বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশির সঙ্গে ভোজ্যতেল কোম্পানিগুলোর এক বৈঠকে এখনই দাম না বাড়ানোর সিদ্ধান্ত হয়। আগে বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন (বিটিটিসি) নতুন দাম আমদানি মূল্যের অনুপাতে যৌক্তিক কি-না, তা বিশ্লেষণ করবে। তারপর দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত হবে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ভোজ্যতেল বিপণনকারী কোম্পানি টিকে গ্রুপের পরিচালক (ফাইন্যান্স ও অপারেশন) মো. শফিউল আতহার তাসলিম বলেন, ‘আমরা কাল বা পরশুর মধ্যে দাম নিয়ে আলোচনার জন্য বসতে পারি। বিশ্ববাজারে সয়াবিন ও পাম তেলের দাম বাড়ছেই। এ অবস্থায় দেশে যৌক্তিক দাম নির্ধারণ না করা হলে সরবরাহে ঘাটতি তৈরির আশঙ্কা থাকে।
নতুন প্রস্তাবে শুধু বোতলজাত সয়াবিন নয়, খোলা সয়াবিন ও পাম তেলের দামও বাড়ানোর কথা বলা হয়েছে। এখন খোলা সয়াবিনের নির্ধারিত দর লিটারপ্রতি ১৪৩ টাকা, যা কোম্পানিগুলো ১৫৭ টাকা করতে চায়। পাম সুপার তেল ১৪৩ টাকা থেকে বাড়িয়ে করতে চায় ১৫০ টাকা। বোতলজাত সয়াবিন তেলের পাঁচ লিটারের বোতলের নির্ধারিত দর এখন ৭৯৫ টাকা, যা ৮৭০ টাকা নির্ধারণের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে দেওয়া চিঠিতে বলা হয়েছে, আমদানিমূল্য বিবেচনায় ৩ ফেব্রুয়ারি ১ লিটার সয়াবিন তেলের বোতল ১৮৬ টাকা নির্ধারণের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। তবে ভোক্তাদের কথা বিবেচনা করে ৬ টাকা ছাড় দিয়ে তারা ১৮০ টাকা নির্ধারণ করে বাজারে ছাড়তে চায়।
এর আগে, সর্বশেষ ৬ ফেব্রুয়ারি সয়াবিন তেলের দাম লিটারে ৮ টাকা বেড়েছে। সরকারি সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) হিসাব বলছে, ২০১৯ সালের ৭ জানুয়ারি ৫ লিটারের এক বোতল সয়াবিন তেলের দাম ছিল ৪৬৫ থেকে ৫১০ টাকা। বিশ্ববাজারে দাম যত বাড়ছে, সরকারের রাজস্ব বাড়ছে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় কর ছাড়ের অনুরোধ জানিয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) চিঠি দিয়েও সাড়া পায়নি।