বুধবার (২ মার্চ) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রের সামনে এক নির্বাচন কমিশন আয়োজিত র্যালি শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, এবারের ভোটার দিবসের প্রতিপাদ্য হচ্ছে- মুজিববর্ষের অঙ্গীকার, রক্ষা করব ভোটাধিকার। এই অঙ্গীকারের কথাটি কিন্তু ফাঁকা বুলি হওয়া উচিত না। এটা অবশ্যই অর্থবহ এবং অর্থবহ হতে হবে। যেকোনো অঙ্গীকার অর্থবহ এবং সেই অঙ্গীকারটিকে অন্তরে লালন করতে হবে। শুধু মুখের উক্তি দিয়ে প্রচার করলেই হবে না, একে অন্তরে লালন এবং ধারণ করতে হবে।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, পায়রাকে যেভাবে খাঁচা থেকে মুক্ত করে দিয়ে শান্তির বার্তা দেওয়া হয়, ঠিক সেইভাবে আগামী সংসদ নির্বাচনে মুক্ত ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোটাররা তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন।
দেশে চতুর্থবারের মতো জাতীয় ভোটার দিবস উদযাপন করছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। রাজধানী ঢাকার মতো সারাদেশেই এ লক্ষ্যে আয়োজন করা হয়েছে বিভিন্ন কর্মসূচির।
র্যালিটি সকাল সোয়া ৮টায় মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ থেকে শুরু হয়ে ৯টার দিকে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে গিয়ে শেষ হয়। এতে অন্যদের নির্বাচন কমিশনার বেগম রাশিদা সুলতানা, আহসান হাবীব খান, মো. আলমগীর, আনিছুর রহমান এবং ইসি সচিব মো. হুমায়ুন কবীর খোন্দকারসহ সংস্থাটির সব পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অংশ নেন। র্যালির শুরুতে পায়রা অবমুক্ত করেন সিইসি ও কমিশনাররা।
বিকেল তিনটায় আয়োজন করা হয়েছে আলোচনা সভার। নির্বাচন ভবনের অডিটরিয়ামে অনুষ্ঠেয় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন সিইসি। এছাড়া ২১ জন নতুন ভোটারের হাতে তুলে দেওয়া হবে স্মার্টকার্ড। ঢাকার মতো একই কর্মসূচি চলছে আঞ্চলিক, জেলা ও উপজেলা নির্বাচন কার্যালয়ের উদ্যোগে।
২০১৯ সালে দেশে প্রথমবারের মতো জাতীয় ভোটার দিবস উদযাপন করা হয়। সেদিনের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।