টিকটকের সঙ্গে দেশটিতে স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্ম নেটফ্লিক্সও তাদের সেবা সীমিত করার কথা জানিয়েছে বিবিসি।
ইউক্রেনে দেশটির সামরিক অভিযান চালানোর পর পশ্চিমা দেশগুলোর সঙ্গে তাদের মিত্ররা রাশিয়ার ওপর অবরোধ আরোপ শুরু করে। এসব দেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানও দেশটিতে তাদের সেবা বন্ধ ও সীমিত করার কথা জানায়।
সর্বশেষ এই দুই প্রতিষ্ঠান তাদের সেবা সীমিত করার ঘোষণা দিল।
টিকটক চীনা প্রতিষ্ঠান হলেও পরিচালিত হয় যুক্তরাষ্ট্র থেকে। এর আগে যুক্তরাষ্ট্রও অ্যাপটি নিষিদ্ধ করেছিল। পরে শর্ত হিসেবে দেশটিতে অফিস খুলে সেখান থেকে পুরো কর্মকাণ্ড পরিচালনার শর্তে আবারও খুলে দেয়া হয়।
টিকটক বলছে, তারা রাশিয়া থেকে ছড়ানো বিশেষ করে দেশটির সামরিক বাহিনীর বিভিন্ন ‘ভুয়া খবর’ ছড়ানো বন্ধ করতে এমন পদক্ষেপ নিয়েছে।
রাশিয়ায় টিকটকের ৩ কোটি ৬০ লাখ ব্যবহারকারী রয়েছেন। প্রতিষ্ঠানটির ভাষ্য, তাদের ব্যবহারকারীদের নিরাপত্তার দিকটি সামনে এনেই এমন পদক্ষেপ তাদের।
গত শুক্রবার থেকে রাশিয়ায় ঘোষণা দেয়া হয়েছে, যেসব ব্যবহারকারী দেশটির সামরিক বাহিনীকে নিয়ে মিথ্যা তথ্য শেয়ার করবে তাদের ১৫ বছর পর্যন্ত জেল হতে পারে।
অন্য বিষয়গুলোর মধ্যে রয়েছে, অনেকেই ইউক্রেনে রাশিয়ার ‘আগ্রাসন’ বলছে, যার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে ক্রেমলিন বলেছে এটি ‘বিশেষ সামরিক অভিযান’।
সংবাদমাধ্যম বিবিসি ও অন্যান্য সাংবাদমাধ্যম দেশটিতে স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারছে না দাবি করে রাশিয়ার খবর প্রচার বন্ধ করেছে।
টিকটক এই টুইটে বলেছে, “রাশিয়া ‘ভুয়া খবর’ আইন প্রণয়নের পর তা পর্যালোচনা করে আমরা ব্যবহারকারীদের নিরাপত্তায় এমন পদক্ষেপ নেয়া ছাড়া আর উপায় দেখতে পাইনি। সে জন্য দেশটি থেকে ভিডিও আপলোড, লাইভ স্ট্রিমিংসহ অন্য সেবা বন্ধ করা হয়েছে।”
প্রতিষ্ঠানটি জানায়, ব্যবহারকারীদের নিরাপত্তার বিষয়টি এবং রাশিয়ার পরিস্থিতি পর্যালোচনা করার পরই সেবা পুনরায় চালু করা যায় কি না সে ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবে।
এর আগে অন্য প্ল্যাটফর্ম ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, টুইটার ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক অভিযানের পর দেশটিতে সেবা বন্ধ করে দিয়েছে।
টিকটক তেমন পদক্ষেপ না নেয়ায় সমালোচনার মুখে পড়েছিল।
অবশেষে ইউক্রেনে রাশিয়ার এমন সংঘাতকে রোববার টিকটক এক বিবৃতি দিয়ে ‘বিধ্বংসী’ হিসেবে বর্ণনা করেছে। সেই সঙ্গে এটি তাদের কমিউনিটি ও জনগণের জন্য বেদনার বলে জানিয়েছে।
অবশ্য টিকটক তাদের বিবৃতিতে রাশিয়াকে তাদের অন্যতম একটি বাজার বলেও তুলে ধরেছে।