চতুর্থ দিনে আরও বড় পতন, শেয়ারদর কমল ৯৬ শতাংশ প্রতিষ্ঠানের

চতুর্থ দিনে আরও বড় পতন, শেয়ারদর কমল ৯৬ শতাংশ প্রতিষ্ঠানের
সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে বড় পতনের পর আজ আরও বড় পতনে দেশের শেয়ারবাজারে লেনদেন শেষ হয়েছে। এদিন শেয়ার ও ইউনিট লেনদেনে অংশ নেওয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে ৯৬ শতাংশ কোম্পানিরই শেয়ারদর কমেছে।

সোমবার (৭ মার্চ) প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সব সূচকেরই বড় পতন হয়েছে। তবে আগের কার্যদিবসের তুলনায় টাকার অংকে লেনদেন সামান্য বেড়েছে।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, সোমবার এক্সচেঞ্জটির প্রধান সূচক ‘ডিএসইএক্স’ ১৮২ পয়েন্ট বা ২ দশমিক ৭৪ শতাংশ কমেছে।

এর আগের তিন কার্যদিবসেও প্রধান সূচকের পতন হয়েছিল। বুধবার (২ মার্চ) ‘ডিএসইএক্স’৫৩ পয়েন্ট হারিয়েছিল। পরের দিন বৃহস্পতিবার (৩ মার্চ) সূচকটি হারায় আরও ৩ পয়েন্ট। পরের কার্যদিবস রবিবারও সূচকটি ৫৭ পয়েন্ট হারায়। আজ টানা চতুর্থ দিনের পতনের কারণে চার দিনে ‘ডিএসইএক্স’ হারায় মোট ২৯৫ পয়েন্ট। আর চারদিনে ২৯৫ পয়েন্ট হারানো সূচকটি বর্তমানে ৬ হাজার ৪৫৬ পয়েন্টে অবস্থান করছে।



প্রধান সূচকের মতো আজ ডিএসইর অপর দুই সূচকেরও বড় পতন হয়েছে। বাছাই করা কোম্পানিগুলোর সূচক ‘ডিএসই৩০’ আজ ৬৪ পয়েন্ট বা ২ দশমিক ৬৪ শতাংশ কমেছে। আর শরীয়াহভিত্তিক কোম্পানিগুলো নিয়ে গঠিত ‘ডিএসইএস’ কমেছে ৩৬ পয়েন্ট বা ২ দশমিক ৫৫ শতাংশ।

সোমবার বড় পতনে সবচেয়ে বেশি ভূমিকা ছিল ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকোর। কোম্পানিটির কারণে ডিএসইর সূচক কমেছে ১৭ দশমিক ২২ পয়েন্ট। গ্রামীনফোনের কারণে হারায় আরও ১৩ পয়েন্ট।

আর লাফার্জ হোলসিমের কারণে ৯ দশমিক ১০ পয়েন্ট, ওয়ালটন হাই-টেকের কারণে ৮ দশমিক ০৪ শতাংশ, বেক্সিমকোর কারণে ৭ দশমিক ৬৫ শতাংশ, স্কয়ার ফার্মার কারণে ৭ দশমিক ২৬ পয়েন্ট, বেক্সিমকো ফার্মার কারণে ৬ দশমিক ০৪ পয়েন্ট, রেনেটার কারণে ৩ দশমিক ৪৯ পয়েন্ট, বার্জার পেইন্টসের কারণে ৩ পয়েন্ট এবং ইউনাইটেড পাওয়ার গ্রিডের কারণে ২ দশমিক ৭৯ পয়েন্ট হারায় ডিএসইর সূচক।

এই দশ কোম্পানির কারণে সূচক হারিয়েছে মোট ৭৭ দশমিক ৮২ পয়েন্ট।

রবি, ডাচ-বাংলা ব্যাংক, তমিজউদ্দিন টেক্সটাইল, পদ্মা ওয়েল, এডিএন টেলিকম, বিডি কম্পিউটার, ট্রাস্ট ব্যাংক, ড্যাফোডিল কম্পিউটার এবং আইসিবি সোনালী ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ডের কারণে সূচকে ৬ দশমিক ৯৪ পয়েন্ট যোগ হয়েছে। ফলে কোম্পানিগুলো আজ সূচকের বড় পতন ঠেকিয়েছে।

সোমবার ডিএসইর সব সূচকের পতন হলেও টাকার অংকে লেনদেনের পরিমাণ কিছুটা বেড়েছে। আজ প্রধান শেয়ারবাজারে মোট ৭৪০ কোটি ৬৩ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। আগের কার্যদিবসে (রোববার) লেনদেন হয়েছিল ৬৫১ কোটি ৫৬ লাখ টাকার শেয়ার।

সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে ৩৭৮টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এসব কোম্পানির মধ্যে মাত্র ৭টি কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে, কমেছে ৩৬৪টির। আর বাকি ৮ টি কোম্পানির শেয়ারদর আজ অপরিবর্তিত ছিল।



আজ প্রধান শেয়ারবাজারে লেনদেনে অংশ নেওয়া মাত্র ৭টি কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে। এর মধ্যে শীর্ষস্থান দখল করেছে বিডিকম অনলাইন লিমিটেড। আজ শেয়ারটির দর ২ টাকা ৩০ পয়সা বা ৯.৭৫ শতাংশ বেড়েছে। শেয়ারটি আজ সর্বশেষ ২৫ টাকা ৯০ পয়সা দরে লেনদেন হয়।

তালিকার দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে তমিজ উদ্দিন টেক্সটাইল লিমিটেড। আজ কোম্পানিটির দর বেড়েছে ১৫ টাকা ১০ পয়সা বা ৫.৩৪ শতাংশ। এদিন কোম্পানিটি সর্বশেষ ২৯৮ টাকা ১০ পয়সা দরে লেনদেন হয়।

গেইনারের তৃতীয় স্থানে থাকা এডিএন টেলিকমের শেয়ারদর আজ ২ টাকা ৩০ পয়সা বা ৩.৯১ শতাংশ বেড়েছে। এদিন কোম্পানিটির শেয়ার সর্বশেষ ৬১ টাকা ১০ পয়সা দরে লেনদেন হয়।

এদিন দরবৃদ্ধি পাওয়া অন্য কোম্পানিগুলো হচ্ছে- ডাচ-বাংলা ব্যাংক, রবি, পদ্মা অয়েল ও প্রাইম ফাইন্যান্স ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ড।

সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে ঢাকা ডিএসইতে ৩৬৪টি কোম্পানির শেয়ারদর কমেছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি কমেছে কনডেন্স মিল্কের। আজ কোম্পানিটির শেয়ারদর ১০ শতাংশ কমেছে, অবস্থান করছে লুজার তালিকার শীর্ষে।

এছাড়াও, আরামিট সিমেন্টের ৯ দশমিক ৭৯ শতাংশ, ভ্যানগার্ড এএমএল রূপালী ব্যাংক ব্যালেন্স ফান্ডের ৯ দশমিক ৫২ শতাংশ, এনভয় টেক্সটাইলের ৯ দশমিক ৪৩ শতাংশ, এপেক্স স্পিনিংয়ের ৯ দশমিক ১৭ শতাংশ, জুন স্পিনার্সের ৮ দশমিক ৭০ শতাংশ, এশিয়া ইন্স্যুরেন্সের ৮ দশমিক ২৭ শতাংশ, কপারটেকের ৭ দশমিক ৮৩ শতাংশ, এএফসি এগ্রোর ৭ দশমিক ৬৩ শতাংশ এবং ইমাম বাটনের শেয়ার দর ৭ দশমিক ৫৫ শতাংশ কমেছে।

আর্কাইভ থেকে

আরও পড়ুন

ফু-ওয়াং সিরামিকের লভ্যাংশ অনুমোদন
এক বছরে ডিএসইর বাজার মূলধন বেড়েছে ২০ হাজার কোটি টাকা
ডিএসইতে মোবাইল গ্রাহক-লেনদেন দুটোই কমেছে
বছরজুড়ে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তির অনুমোদন পেয়েছে ৯ কোম্পানি
পুঁজিবাজারে লেনদেন বন্ধ আজ
বছরের ব্যবধানে পুঁজিবাজারে লেনদেন বেড়েছে ৪০ শতাংশ
রবিবার পুঁজিবাজার বন্ধ থাকলেও চলবে দাপ্তরিক কার্যক্রম
লোকসানে ৮ খাতের বিনিয়োগকারীরা
সাপ্তাহিক রিটার্নে মুনাফায় ১০ খাতের বিনিয়োগকারীরা
খাতভিত্তিক লেনদেনের শীর্ষে প্রকৌশল খাত