দোকান খোলার অনুমতি চেয়ে বাণিজ্যমন্ত্রীর কাছে গতকাল সোমবার চিঠি দিয়েছে সমিতি। সমিতির সভাপতি হেলাল উদ্দিন এবং মহাসচিব জহিরুল হক ভুঁইয়া স্বাক্ষরিত চিঠিতে বলা হয়, গত মার্চ মাস থেকে সমগ্র বাংলাদেশের সব দোকান ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে সরকার কর্তৃক ছুটি ঘোষণা করা হলে আমরা সে অনুযায়ী বন্ধ রেখেছি। তবে প্রধানমন্ত্রীর ১ লাখ কোটি টাকার প্রণোদনা প্যাকেজের সুবিধা ক্ষুদ্র, খুচরা ও পাইকারি দোকানিদের পাওয়ার কোনো সুযোগ নেই। এদিকে দোকান-পাট বন্ধ থাকায় রোজগারের পথ সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে গেছে। ফলে এসব ব্যবসায়ী ও তাদের কর্মচারীরা অর্ধাহারে অনাহারে অতিকষ্টে দিনযাপন করছেন। তারা পথে বসার উপক্রম হয়েছে। এতদিন দোকান পাট বন্ধ থাকায় ৬ থেকে ৭ হাজার কোটি টাকার পুঁজি নষ্ট হয়েছে। সেই সঙ্গে পবিত্র রমজান ও ঈদ উপলক্ষ্যে ২০ থেকে ২২ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করা হয় তাও বিনষ্ট হওয়ার উপক্রম হয়েছে।
ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইয়ের উদ্যোগে দেশের শীর্ষ ব্যবসায়ীদের এক আলোচনা সভায় গার্মেন্টস ও বৃহৎ শিল্পসমূহ খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। সে অনুযায়ী গত ২৬ এপ্রিল থেকে গার্মেন্টস খুলতে শুরু করেছে। শ্রমিকরাও দলে দলে আসতে শুরু করেছে। সেই সঙ্গে নরসিংদী জেলা প্রশাসক, জেলা চেম্বার ও বণিক সমিতির সঙ্গে আলোচনা সাপেক্ষে দেশের বৃহত্তর পাইকারি মার্কেট নরসিংদীর বাবুরহাট খুলে দেওয়া হয়েছে।
বাণিজ্যমন্ত্রীকে উদ্দেশ করে চিঠিতে আরো বলা হয়, এমতাবস্থায় ক্ষুদ্র, খুচরা ও পাইকারি মার্কেট ও দোকানসমূহ আগামী পহেলা মে থেকে সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত স্বাস্থ্যবিধি মেনে খোলা রেখে আমাদের এ সব ব্যবসায়ীদের বিনিয়োগ বাঁচিয়ে রাখার জন্য আপনাকে বিশেষভাবে অনুরোধ জানাচ্ছি।