বুধবার (৯ মার্চ) জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সঙ্গে প্রাক্–বাজেট আলোচনায় এই প্রস্তাব দিয়েছে সংগঠনটি।
আলোচনায় এই খাতের তালিকাভুক্ত ও তালিকাবহির্ভূত কোম্পানিগুলোর জন্য ৪০ ও ৪৫ শতাংশ হারে যে করপোরেট কর বিদ্যমান, তা যথাক্রমে ২৫ ও ৩২ শতাংশে নামিয়ে এনে যৌক্তিক এবং সহনীয় করার প্রস্তাব দিয়েছে এমটব।
সংগঠনটির নেতারা বলেন, টেলিযোগাযোগ খাতের ব্যবসায়ে লোকসান হওয়ার পরেও সর্বনিম্ন কর দিতে হয়। যেটা মূলধন থেকে পরিশোধ করতে হয়। এই পরিস্থিতি দেশের টেলিকম খাতে বিনিয়োগকে নিরুৎসাহিত করছে। তাই অলাভজনক মোবাইল অপারেটরদের জন্য ন্যূনতম ২ শতাংশ টার্নওভার ট্যাক্স প্রত্যাহার কিংবা এটাকে যুক্তিসংগত করার দাবি জানান এমটবের নেতারা।
সংগঠনটির দাবি, করপোরেট সামাজিক দায়বদ্ধতার (সিএসআর) জন্য যে ২২টি ক্ষেত্রের তালিকা রয়েছে, সেখানে টেলিকম কোম্পানিগুলো যে অর্থ ব্যয় করে, সেটাকে অনুমোদনযোগ্য ব্যয় হিসেবে বিবেচনা করা উচিত, যাতে করদাতারা সিএসআর কার্যক্রমের ওপর ১০ শতাংশ রেয়াত পায়।
এদিকে গত বছর টু–জি ও থ্রি–জি নেটওয়ার্কের জন্য রাজস্ব প্রদানের ক্ষেত্রে ভ্যাট ছাড় দেওয়া হয়েছে। ফোর–জির ক্ষেত্রে এই ছাড়ের নির্দেশনা নেই। তাই এ–সংক্রান্ত ভ্যাট আইনে প্রয়োজনীয় বিধান অন্তর্ভুক্ত করার প্রস্তাব করেছে এমটব।
এ ছাড়া বর্তমানে ডেটা পরিষেবায় সম্পূরক শুল্ক (এসডি) ১৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ এবং মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) ৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে আদর্শ করহার অর্থাৎ ১৫ শতাংশ করার প্রস্তাব দিয়েছে এমটব।
গ্রামাঞ্চলে ও বিচ্ছিন্ন জনগোষ্ঠীকে মোবাইল সেবার আওতায় নিয়ে আসতে সিমের ওপরে আরোপিত ২০০ টাকার কর বিলুপ্ত করার প্রস্তাব দিয়েছে সংগঠনটি।
এমটব বলছে, সার্বিকভাবে দেশের অর্থনীতিতে টেলিযোগাযোগ খাতের অবদান জিডিপির আনুমানিক ৭ শতাংশের মতো।
সংগঠনটির দাবি, কাভারেজ থাকলেও দেশের জনসংখ্যার প্রায় অর্ধেক এখনো উচ্চমূল্যের কারণে মোবাইল নেটওয়ার্কের সঙ্গে যুক্ত হতে পারেননি। কর–কাঠামোর সংস্কার করা গেলে গ্রাহকের ব্যয় কমবে। তাতে এই জনগোষ্ঠী মোবাইল নেটওয়ার্কের সঙ্গে যুক্ত হতে আগ্রহী হবে।