বৃহষ্পতিবার (১০ মার্চ) সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাজধানী দুবাইতে প্যান এশিয়া এশিয়া গ্রুপ ও বিডা আয়োজিত আয়োজিত বাংলাদেশ ইকোনমিক ফোরামে তিনি এ আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠানে সভাপতি জানান, ২০২০-২১ অর্থবছরে সংযুক্ত আরব আমিরাতে বাংলাদেশের রফতানি ছিলো ৫০ কোটি ডলার। বিপরীতে আমদানির পরিমাণ ছিলো ১৩০ কোটি ডলার। অন্যদিকে বাংলাদেশে বিনিয়োগকারী দেশ হিসেবে সংযুক্ত আরব আমিরাতের অবস্থান ১৩তম। দুই দেশের বাণিজ্য ও বিনিয়োগের এই পরিসংখ্যানকে আরো সমৃদ্ধ করার সুযোগ রয়েছে।
তিনি বলেন, ভৌগলিক অবস্থানের কারণে, দক্ষিণ এশিয়া ও আসিয়ানের দেশগুলোর জন্য বাংলাদেশ গেটওয়ে হিসেবে কাজ করছে। খুব কাছে অবস্থিত হওয়ায় বাংলাদেশে বিনিয়োগ করে চীনের বাজার ধরার সুযোগ রয়েছে। এছাড়াও ১৭ কোটি জনসংখ্যার বাংলাদেশে অভ্যন্তরীণ বাজারও বিশাল। এ দেশে দক্ষ শ্রমশক্তির আকার ৬ কোটি ৮৫ লাখ যা বিশ্বে ৭ম বৃহত্তম। শিল্প কারখানার জন্য পর্যাপ্ত বিদ্যুৎ উৎপাদনেও স্বয়ংসম্পূর্ণ বাংলাদেশ।
তিনি বলেন, দেশজুড়ে ১’শটি অর্থনৈতিক অঞ্চল, ২৮টি আইটি পার্ক, খাতভিত্তিক ক্লাস্টার পার্ক, ৮টি ইপিজেড ও ট্যুরিজম পার্কের তথ্য জানিয়ে সভাপতি বলেন, বাংলাদেশ এখন বিদেশি বিনিয়োগকারীদের জন্য অন্যতম আকর্ষনীয় গন্তব্য।
জ্বালানি, বন্দর ও লজিস্টিকস, এমএসএমই, আইসিটি, তৈরি পোশাক শিল্প, কৃষি প্রক্রিয়াজাত ও হালাল খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ শিল্প, প্লাস্টিক, ইলেকট্রিকাল ও ইলেকট্রনিক্স, হালকা প্রকৌশল, ব্যাংক-বীমা, পাট, চামড়া, পর্যটন, দক্ষতা উন্নয়ন খাতে দুদেশের মধ্যে পারষ্পরিক সহযোগিতা বাড়ানোর আহ্বান জানান মো. জসিম উদ্দিন।
অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুল মোমেন এমপি, প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান এমপি, বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম, বিএসইসি’র চেয়ারম্যান প্রফেসর শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম এবং বাংলাদেশ বিজনেস কাউন্সিল, দুবাইয়ের সভাপতি মাহতাবুর রহমান নাসির।