সোমবার রাশিয়ার প্রধানমন্ত্রী এই নিষিদ্ধাজ্ঞার কথা জানান। খবর রয়টার্সের।
রাশিয়ার কৃষি মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা ইন্টারফ্যাক্সকে এ সম্পর্কে বলেন, ‘কৃষি মন্ত্রণালয় ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের যৌথ উদ্যোগে একটি সরকারি আদেশের খসড়া প্রস্তুত করা হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, আগামী ১৫ মার্চ থেকে ৩০ জুন পযন্ত আন্তর্জাতিক বাজারে কোনো খাদ্যশস্য রপ্তানি করা হবে না। খুব শিগগিরিই এই আদেশ কার্যকর করা হবে।’
এদিকে, বিশ্বের শীর্ষ গম রপ্তানিকারী দেশটির এই সিদ্ধান্ত সংবাদমাধ্যমে প্রচারিত হওয়া মাত্রই ইউরোপে বাড়তে শুরু করেছে গমের দাম।
প্যারিসভিত্তিক সংস্থা ফ্রন্ট-মান্থ মের তথ্য অনুযায়ী, ইউরোপে এর মধ্যেই প্রতি টন গমের দাম বেড়েছে এক দশমিক ৮ শতাংশ।
ইউরোপের এক খাদ্যশস্য ব্যবসায়ী এ বিষয়ে রয়টার্সকে বলেন, ‘প্রাকৃতিক দুর্যোগ, খরা ও মহামারির কারণে এমনিতেই গত বছর বিশ্বজুড়ে কৃষি উৎপাদন ব্যাহত হয়েছে, ফলে বাজারে খাদ্যশস্যের দাম চড়া। এখন রাশিয়া যদি সত্যিই এমন সিদ্ধান্ত নেয়, সেক্ষেত্রে বাজারের চেহারা বদলে যাবে।’
‘আমরা আশা করছি—রপ্তানি বিষয়ক পুরনো যে চুক্তিগুলো আছে, সেসব সচল রাখবে রাশিয়া। যদি তা না রাখে, সেক্ষেত্রে বিশাল বিপর্যয় ঘটবে।’
আন্তর্জাতিক রাজনীতি বিশ্লেষকদের একাংশের ধারণা, ইউক্রেনে রুশ অভিযানকে কেন্দ্র করে পশ্চিমা দেশগুলো রাশিয়ার বিরুদ্ধে একের পর এক যেসব নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে, সেসবের জবাব দিতেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশটি।
তবে অনেকে বলছেন, অভ্যন্তরীণ খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতেই এই উদ্যোগ নিতে যাচ্ছে রুশ সরকার। এক্ষেত্রে উদাহারণ হিসেবে বলা যায়, গত সপ্তাহে প্রাক্তন সোভিয়েত রাষ্ট্রগুলোতে খাদ্যশস্য রপ্তানি স্থগিত করেছে রুশ সরকার। আগামী আগস্ট পর্যন্ত এই স্থগিতাদেশ কার্যকর থাকবে।
উল্লেখ্য, ২৪ ফেব্রুয়ারি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের নির্দেশে ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরু করে রুশ বাহিনী। এ অভিযানের অংশ হিসেবে স্থল, আকাশ ও পানিপথে ইউক্রেনে হামলা চালানো হচ্ছে। অভিযান শুরুর পর ইউক্রেনের সেনাবাহিনীও প্রতিরোধের চেষ্টা চালাচ্ছে। এতে দুপক্ষের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘাত চলছে। আজ যুদ্ধের ২০তম দিন।