আগ্রহের শীর্ষে আইটি খাত: দাম বাড়লো শতভাগ কোম্পানির

আগ্রহের শীর্ষে আইটি খাত: দাম বাড়লো শতভাগ কোম্পানির
শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত আইটি খাতের কোম্পানিগুলোর প্রতি বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ বেড়েছে। মঙ্গলবার (১৫ মার্চ) এ খাতের সব কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে। আর তিনটি কোম্পানি এদিন দরবৃদ্ধি তালিকার শীর্ষ দশে জায়গা করে নিয়েছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

ডিএসইর তথ্য মতে, শেয়ারবাজারে আইটি খাতে মোট ১১টি কোম্পানি রয়েছে। এসব কোম্পানির মধ্যে শতভাগ প্রতিষ্ঠানেরই শেয়ারদর মঙ্গলবার বেড়েছে। আজ ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের টপটেন গেইনার তালিকায় আইটি খাতের তিনটি কোম্পানি স্থান করে নিয়েছে। এসব কোম্পানির শেয়ারদর একদিনে যতটুকু বৃদ্ধি পাওয়া সম্ভব ততটুকুই বেড়েছে।

জানা গেছে, মঙ্গলবার ডিএসইতে সর্বোচ্চ শেয়ারদর বেড়েছে আইটি খাতের কোম্পানি ই-জেনারেশনের। কোম্পানিটির শেয়ারদর আজ ৯ দশমিক ৯৬ শতাংশ বেড়েছে। গত ৭ মার্চ প্রতিষ্ঠানটির শেয়ার লেনদেন হয়েছিল ৪৩ টাকা ৫০ পয়সা দরে। আজ সর্বশেষ শেয়ারটি ৫২ টাকায় লেনদেন হয়। মাত্র সাত দিনের ব্যবধানে কোম্পানিটির শেয়ারদর বেড়েছে ৮৩ দশমিক ৬৫ শতাংশ।

মঙ্গলবার ডিএসইর গেইনার তালিকার দ্বিতীয় স্থানে জায়গা করে নিয়েছে বিডিকম অনলাইন লিমিটেড। কোম্পানিটির শেয়ারদর আজ ৯ দশমিক ৯০ শতাংশ। গত কয়েকদিন ধরে বিডিকম ডিএসইর টপগেইনার ছিল। সাত কার্যদিবস আগেও কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন হয়েছিল ২৫ টাকা ৯০ পয়সায়। আজ লেনদেন শেষে কোম্পানিটির শেয়ারদর দাঁড়ায় ৪৫ টাকা ৪০ পয়সায়। অর্থাৎ সাত কার্যদিবসে কোম্পানিটির শেয়ারদর বেড়েছে ৫৬ দশমিক ৯২ শতাংশ।

আজ ডিএসইর টপটেন গেইনার তালিকায় স্থান পায় আইটি খাতের কোম্পানি আমরা নেটওয়ার্কও। এদিন কোম্পানিটি গেইনার তালিকার চার নম্বরে উঠে আসে। প্রতিষ্ঠানটির শেয়ারদর আজ ৯ দশমিক ৮৭ শতাংশ বেড়েছে। আর সাত কার্যদিবসে বেড়েছে ৮০ শতাংশ।

আইটি খাতের ১১ কোম্পানির মধ্যে মাত্র একটি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ১০০ টাকার বেশি দরে লেনদেন হচ্ছে। বাকি ৫টি কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হচ্ছে ৫০ টাকারও কমে। সর্বশেষ হিসাববছরে এ খাতের মাত্র একটি কোম্পানির শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছে। এ খাতের কোন কোম্পানিতে সরকারি বিনিয়োগ না থাকলেও ৬টি কোম্পানিতে বিদেশি বিনিয়োগ রয়েছে।

শেয়ারের সর্বোচ্চ দর জেনেক্স ইনফোসিসের
আইটি খাতের কোম্পানিগুলোর মধ্যে এখন পর্যন্ত জেনেক্স ইনফোসিসের শেয়ার সর্বোচ্চ দরে লেনদেন হচ্ছে। মঙ্গলবার কোম্পানিটির শেয়ার সর্বশেষ ১৩২ টাকা ৯০ পয়সায় লেনদেন হয়।

আইটি খাতে সর্বোচ্চ দরের শেয়ারের তালিকার দ্বিতীয় স্থানে আছে ড্যাফোডিল কম্পিউটার্স। আজ কোম্পানিটির শেয়ার সর্বশেষ ৭০ টাকা ১০ পয়সায় লেনদেন হয়েছে। আর তালিকার তৃতীয় স্থানে থাকা এডিএন টেলিকমের শেয়ার লেনদেন হয়েছে সর্বশেষ ৬৮ টাকা ২০ পয়সায়।

সর্বনিম্ন শেয়ারদর অগ্নি সিস্টেমের
আইটি খাতের কোম্পানিগুলোর মধ্যে সবচেয়ে কম দামে শেয়ার লেনদেন হচ্ছে অগ্নি সিস্টেমের। কোম্পানিটির শেয়ার আজ সর্বশেষ ২৯ টাকা ৩০ পয়সায় লেনদেন হয়েছে।

এদিকে ইকোনমিক জোনে জমি রয়েছে ২০০২ সালে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়া বিডিকম অনলাইন লিমিটেডের। ফেনী ও চট্টগ্রামে মীরসরাইয়ে অবস্থিত ‘বঙ্গবন্ধু শিল্পনগরী’তে ৩০ বিঘা জমি বরাদ্দ পাওয়ার তথ্য জানিয়েছে কোম্পানিটি। বাংলাদেশ অর্থনৈতিক কর্তৃপক্ষ (বেজা) ২০১৯ সালে এ জমি বরাদ্দ দেয়। সেখানে কোম্পানিটি নিজস্ব ইন্ডাস্ট্রি গড়ে তুলবে, যেখানে ব্যাপক কর্মসংস্থানের পাশাপাশি কোম্পানিটি ভালো অংকের মুনাফা করতে সক্ষম হবে।

এদিকে তুলনামূলকভাবে লভ্যাংশে এগিয়ে জেনেক্স ইনফোসিস। আইটি খাতের কোম্পানিগুলোর মধ্যে সর্বশেষ হিসাববছরে সবচেয়ে বেশি লভ্যাংশ দিয়েছে জেনেক্স কোম্পানিটি। ২০২১ সালে বিনিয়োগকারীদের জন্য ১০ শতাংশ নগদ ও ১০ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দিয়েছে জেনেক্স ইনফোসিস।

এর আগে, ২০১৯ সালে ১৫ শতাংশ বোনাসসহ মোট ২০ শতাংশ লভ্যাংশ দেয় কোম্পানিটি। ২০২০ এবং ২০২১ সালে ১০ শতাংশ নগদ এবং ১০ শতাংশ করে বোনাস লভ্যাংশ দেয় জেনেক্স ইনফোসিস।

সর্বশেষ হিসাববছরে ১০ শতাংশ করে নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে এডিএন টেলিকম এবং ই-জেনারেশন।

২০১৯ সালে তালিকাভুক্ত হওয়া এডিএন টেলিকম ২০২০ সালের ৬ জানুয়ারি লেনদেন শুরু করে। ২০২০ সালে বিনিয়োগকারীদের নগদ ১৫ শতাংশ লভ্যাংশ দেয় প্রতিষ্ঠানটি। আর ই-জেনারেশন ২০২১ সালেই শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হয়েছিল।

সর্বশেষ হিসাববছরে (২০২১) বিনিয়োগকারীদের ৫ শতাংশ বোনাসসহ মোট ১০ শতাংশ লভ্যাংশ দিয়েছে আমরা নেটওয়ার্ক। এর আগে, ২০১৯ সালে বিনিয়োগকারীদের ৬ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দিয়েছিল কোম্পানিটি। ওই বছর মোট ১২ শতাংশ লভ্যাংশ দেয় আমরা নেটওয়ার্ক। আর ২০১৭, ২০১৮ এবং ২০২০ সালে বিনিয়োগকারীদের নগদ ১০ শতাংশ করে লভ্যাংশ দিয়েছিল প্রতিষ্ঠানটি।

আমরা গ্রুপের আরেক প্রতিষ্ঠান ‘আমরা টেকনোলজি’। সর্বশেষ হিসাববছরে (২০২১) কোম্পানিটি বিনিয়োগকারীদের জন্য ৫ শতাংশ নগদ এবং ৫ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ ঘোষণা করে। ২০১৯ সালেও একই পরিমাণের (৫ শতাংশ নগদ এবং ৫ শতাংশ বোনাস) লভ্যাংশ দিয়েছিল কোম্পানিটি। পাঁচ বছর (২০১৫, ২০১৬, ২০১৭, ২০১৮ এবং ২০২০) শুধু নগদ ১০ শতাংশ করে লভ্যাংশ দেয় প্রতিষ্ঠানটি। শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়ার পর ১০ বছরের মধ্যে কোম্পানিটি শুধুমাত্র ২০১৪ সালে কোন লভ্যাংশ দেয়নি।

বিডিকম অনলাইনও ২০২১ সালে বিনিয়োগকারীদের বোনাস ৫ শতাংশসহ মোট ১০ শতাংশ লভ্যাংশ দেয়। ২০০২ সালে তালিকাভুক্ত হওয়া কোম্পানিটি ২০০৭ সাল থেকে লভ্যাংশ দেওয়া শুরু করে। ওই বছর বিনিয়োগকারীদের ১২ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দেওয়া হয়। ২০১৫ সালে প্রথমবারের মতো বিনিয়োগকারীদের নগদ ৭ শতাংশ লভ্যাংশ দেয় কোম্পানিটি। একই বছর ৮ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশও দেওয়া হয়েছিল।

এছাড়াও, ২০১৬ সালে ৭ শতাংশ বোনাসসহ ১২ শতাংশ, ২০১৭ সালে ৫ শতাংশ বোনাসসহ ১০ শতাংশ, ২০১৮ সালে ৫ শতাংশ বোনাসসহ ১২ শতাংশ, ২০১৯ সালে ৬ শতাংশ বোনাসসহ ১২ শতাংশ এবং ২০২০ সালে ৫ শতাংশ বোনাসসহ ১০ শতাংশ লভ্যাংশ দিয়েছিল বিডিকম।

সর্বশেষ বছরে (২০২১) নগদ ৬ শতাংশ লভ্যাংশ দিয়েছে ড্যাফোডিল কম্পিউটার্স। তালিকাভুক্তির পর শুধুমাত্র ২০১২ সালে বিনিয়োগকারীদের কোন লভ্যাংশ দেয়নি প্রতিষ্ঠানটি। আর ২০১৪ সাল পর্যন্ত নগদ লভ্যাংশ দেয়নি। ২০১৫ সালে প্রথমবারের মতো নগদ ১২ শতাংশ লভ্যাংশ দেয় প্রতিষ্ঠানটি। আর ২০১৭ সালে সর্বোচ্চ ১৮ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করে।

এছাড়াও, ২০১৬ সালে ১৫ শতাংশ, ২০১৮ সালে ১২ শতাংশ, ২০১৯ সালে ১০ শতাংশ এবং ২০২০ সালে নগদ ৮ শতাংশ করে নগদ লভ্যাংশ দেয় ড্যাফোডিল কম্পিউটার্স।

২০২১ হিসাববছরে বিনিয়োগকারীদের নগদ ৫ শতাংশ লভ্যাংশ দিয়েছে আইটি কনসালটেন্ট লিমিটেড। এর আগের বছর ৫ শতাংশ নগদ এবং ৭ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দেয় কোম্পানিটি।

২০১৬ সালে তালিকাভুক্ত হয়ে ওই বছরই ১৫ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দেয় আইটি কনসালটেন্ট। এছাড়াও, ২০১৭ সালে ৪ শতাংশ বোনাস ও ৬ শতাংশ নগদ, ২০১৮ সালে ১০ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দেয় কোম্পানিটি।

সর্বশেষ হিসাববছরে বিনিয়োগকারীদের নগদ সাড়ে তিন শতাংশ লভ্যাংশ দিয়েছে অগ্নি সিস্টেম লিমিটেড। ২০০৩ সালে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়ার পর ‘অগ্নি সিস্টেম’ ৭ শতাংশের বেশি নগদ লভ্যাংশ দেয়নি। ১৯ বছরের মধ্যে মাত্র ৬ বার নগদ লভ্য়াংশ দেয় ‘বি’ ক্যাটাগরিতে লেনদেন করা কোম্পানিটি। এর মধ্যে ২০১৯ সালে নগদ সর্বোচ্চ ৭ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেয়। সর্বশেষ হিসাববছরে নগদ লভ্যাংশ দেয় সাড়ে তিন শতাংশ।

২০১৬ থেকে ২০১৮ পর্যন্ত ৫ শতাংশ বোনাসসহ মোট ১০ শতাংশ লভ্যাংশ দেয় অগ্নি সিস্টেম। আর চার বছর (২০০৩, ২০০৪, ২০০৬ এবং ২০১০) বিনিয়োগকারীদের কোন লভ্যাংশই দেয়নি কোম্পানিটি।

আইটি খাতে দুই কোম্পানি ইনফরমেশন সার্ভিস এবং ইনটেক লিমিটেড ২০২১ সালে বিনিয়োগকারীদের কোন লভ্যাংশ দেয়নি।

২০০২ সালে শেয়ারবাজারে আসা ইনটেক করপোরেশন শুধুমাত্র ২০২০ সালে বিনিয়োগকারীদের নগদ লভ্যাংশ দেয়। ওই বছর মাত্র ১ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেয় কোম্পানিটি।

আর শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়ার পর দুই বছর (২০০৪ এবং ২০০৫) ১৫ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দেয় ইনটেক। ২০০৬ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত ১০ শতাংশ করে বোনাস লভ্যাংশ দেয়। ২০১৬ এবং ২০১৭ সালে ১০ শতাংশ করে এবং ২০১৮ সালে ১১ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দেয় কোম্পানিটি। ২০১৫ এবং ২০১৯ সালে বিনিয়োগকারীদের কোন লভ্যাংশ দেয় কোম্পানিটি।

প্রথমবারের মতো ২০০৭ সালে শুধুমাত্র ১৫ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দেয় ইনফরমেশন সার্ভিস। এরপর ২০০৯ এবং ২০১০ সালে ১০ শতাংশ করে বোনাস লভ্যাংশ দেয় প্রতিষ্ঠানটি। পরের দুই বছরও ৫ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দেয় কোম্পানিটি।

লভ্যাংশ দেয়নি দুই কোম্পানি
সর্বশেষ হিসাববছরে আইটি খাতের দুই কোম্পানি বিনিয়োগকারীদের কোন লভ্যাংশ দেয়নি। কোম্পানিগুলো হলো- ইনফরমেশন সার্ভিস নেটওয়ার্ক এবং ইনটেক লিমিটেড।

২০০২ সালে তালিকাভুক্ত হওয়া ইনটেক লিমিটেড শুধুমাত্র একবার বিনিয়োগকারীদের নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। ২০২০ সালে নামমাত্র ১ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেয় কোম্পানিটি।

একই বছর (২০০২) তালিকাভুক্ত হওয়া ইনফরমেশন সার্ভিস নেটওয়ার্ক মাত্র দুই বার নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। ২০১৯ সালে ২ শতাংশ এবং ২০২০ সালে ১ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেয় কোম্পানিটি। সর্বশেষ হিসাববছরে কোম্পানিটির বড় লোকসান হয়েছে।

লোকসানে ইনফরমেশন সার্ভিস
সর্বশেষ হিসাববছরে বড় লোকসান দেখিয়েছে ইনফরমেশন সার্ভিস। ডিএসইর দেওয়া তথ্যমতে, ২০২১ সালে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছে ৮ টাকা ৪৫ পয়সা। এর আগের বছর কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছিল ১৮ পয়সা।

ইপিএসেও এগিয়ে জেনেক্স ইনফোসিস
জেনেক্স ইনফোসিস ২০২১ সালে শেয়ারপ্রতি ৩ টাকা ২২ পয়সা আয় করে। এর আগের বছর (২০২০) সালে আয় করে ৩ টাকা ৪২ পয়সা।

এছাড়াও, ২০১৭ সালে ১ টাকা ৮২ পয়সা, ২০১৮ সালে ২ টাকা ০২ পয়সা এবং ২০১৯ সালে ২ টাকা ৭১ পয়সা ইপিএস হয়েছিল জেনেক্স ইনফোসিসের।

সর্বশেষ হিসাববছরে (২০২১) এডিএন টেলিকমের শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছিল ২ টাকা ৫৭ পয়সা। এর আগের বছর (২০২০) ২ টাকা ৮৬ পয়সা ইপিএস হয়েছিল কোম্পানিটির।

২০১৭ সালে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হয় আমরা নেটওয়ার্ক। তালিকাভুক্তির পরের দুই বছর কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) বেড়েছিল। তবে ২০২০ এবং ২০২১ সালে কোম্পানিটির ইপিএস কমেছে। ২০২১ সালে আমরা নেটওয়ার্ক শেয়ারপ্রতি ২ টাকা ১৪ পয়সা আয় করে।

২০২১ সালে ই-জেনারেশনের শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছে ১ টাকা ৬১ পয়সা। এর আগের বছর (২০২০) সালে ইপিএস ছিল ১ টাকা ৫৫ পয়সা। আর ২০১৯ সালে শেয়ারপ্রতি ১ টাকা ৮২ পয়সা আয় করেছিল ইজেনারেশন।

সর্বশেষ হিসাববছরে (২০২১) শেয়ারপ্রতি ১ টাকা ১০ পয়সা আয় করে বিডিকম অনলাইন। ২০১৫ সালের পর থেকে এক বছরে কোম্পানিটির সর্বোচ্চ ইপিএসের পরিমাণ ছিল ২০১৯ সালে। ওই বছর কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় হয় ১ টাকা ৭২ পয়সা। পরের বছর ইপিএসের পরিমাণ কমে দাঁড়ায় ১ টাকা ১৫ পয়সায়। সর্বশেষ বছরে ইপিএস কমে আরও ৫ পয়সা।

সর্বশেষ হিসাববছরে (২০২১) আইটি কনসালটেন্ট এর শেয়ারপ্রতি আয় বেড়েছে। এ বছর ইপিএস হয় ১ টাকা ৫৪ পয়সা। ২০২০ সালে আয় হয়েছিল ১ টাকা ২০ পয়সা।

এছাড়াও ২০১৯ সালে ১ টাকা ৫৭ পয়সা, ২০১৮ সালে ১ টাকা ১৪ পয়সা এবং ২০১৭ সালে ১ টাকা ০৪ পয়সা করে ইপিএস হয় কোম্পানিটির।

সর্বশেষ পাঁচ বছরের মধ্যে ২০১৮ সালে সর্বোচ্চ ইপিএস (শেয়ারপ্রতি আয়) হয়েছিল আমরা টেকনোলজির। ওই বছর কোম্পানিটির ইপিএসের পরিমাণ ছিল ১ টাকা ৬১ পয়সা। আর ২০২১ সালে ইপিএস হয় ১ টাকা ৪৫ পয়সা। ২০১৭ সালে ১ টাকা ৫২ পয়সা, ২০১৯ সালে ১টাকা ৩৮ পয়সা এবং ২০২০ সালে কোম্পানিটির ইপিএস ছিল ১ টাকা ৪৬ পয়সা।

গত সাত বছরে ক্রমান্বয়ে শেয়ারপ্রতি আয় কমছে অগ্নি সিস্টেমের। ২০১৫ সালে কোম্পানিটির ইপিএস ছিল ১ টাকা ১১ পয়সা। সর্বশেষ হিসাববছরে কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ৭৭ পয়সা। অর্থাৎ সাত বছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় কমেছে ৬৯ শতাংশ।

২০২১ হিসাববছরে ড্যাফোডিল কম্পিউটার্সের শেয়ারপ্রতি আয় হয় ৭০ পয়সা। এর আগের বছর হয়েছিল ৯১ পয়সা। ২০১৫ সালে সালে ইপিএসের পরিমাণ ৯৩ পয়সা থাকা কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় ২০১৮ সাল পর্যন্ত বাড়তে থাকে। ২০১৮ সালে ড্যাফোডিলের ইপিএস হয় ২ টাকা ১৮ পয়সা। এরপর থেকে কমতে থাকে ইপিএসের পরিমাণ।

শেয়ারবাজারের সর্বশেষ খবর জানতে ইউটিউব এবং ফেসবুকে যুক্ত থাকুন অর্থসংবাদের সঙ্গে

আর্কাইভ থেকে

আরও পড়ুন

ফু-ওয়াং সিরামিকের লভ্যাংশ অনুমোদন
এক বছরে ডিএসইর বাজার মূলধন বেড়েছে ২০ হাজার কোটি টাকা
ডিএসইতে মোবাইল গ্রাহক-লেনদেন দুটোই কমেছে
বছরজুড়ে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তির অনুমোদন পেয়েছে ৯ কোম্পানি
পুঁজিবাজারে লেনদেন বন্ধ আজ
বছরের ব্যবধানে পুঁজিবাজারে লেনদেন বেড়েছে ৪০ শতাংশ
রবিবার পুঁজিবাজার বন্ধ থাকলেও চলবে দাপ্তরিক কার্যক্রম
লোকসানে ৮ খাতের বিনিয়োগকারীরা
সাপ্তাহিক রিটার্নে মুনাফায় ১০ খাতের বিনিয়োগকারীরা
খাতভিত্তিক লেনদেনের শীর্ষে প্রকৌশল খাত