আজ বুধবার রাজধানীর একটি হোটেলে ঢাকা ও রিয়াদের মধ্যে রাজনৈতিক সংলাপের পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এ তথ্য জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
ড. মোমেন বলেন, হজে যারা যাবেন, তারা যেন সহজে ভিসা করে যেতে পারেন সে বিষয়ে আমরা বলেছি, যেন হয়রানি কম হয় তাদের। এ বিষয়ে সৌদির পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, ভিসা ক্লিয়ারেন্সের সব কাজ যেন বাংলাদেশে হয়, সেজন্য তারা সহযোগিতা করবেন। সব কার্যক্রম এখানে হলে কোনো হয়রানি হবে না। এতে আমাদের হজ যাত্রীরা খুব খুশি হবেন।
বৈঠকে অন্য বিষয়ে আলোচনা প্রসঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগের জন্য সৌদি আরবের ব্যবসায়ীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছি। সৌদি আরব ৫০ বিলিয়ন বৃক্ষরোপনের উদ্যোগ নিয়েছে। আমরা এ উদ্যোগে সহযোগিতার প্রস্তাব দিয়েছি।
মোমেন বলেন, প্রতি বছর ২৬৫ জন বাংলাদেশি শিক্ষার্থীকে স্কলারশিপ দেয় সৌদি আরব। তবে মাত্র ৮০ জন শিক্ষার্থী সেখানে যায়। কোটা কেন পূরণ হয় না? এ বিষয়ে আমরা আলাপ করেছি।
বেলা পৌনে ১১টায় বাংলাদেশ ও সৌদি আরবের মধ্যে প্রথম দ্বিপক্ষীয় সংলাপ শুরু হয়। পরে শুল্ক খাতে সহযোগিতা বাড়াতে একটি চুক্তি এবং বাংলাদেশের ফরেন সার্ভিস একাডেমি ও বাদশা ফয়সাল ইনস্টিটিউটের মধ্যে সহযোগিতা স্মারক সই করে ঢাকা ও রিয়াদ।
এর আগে সকালে ঢাকা সফররত সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেনের আমন্ত্রণে দুই দিনের সফরে মঙ্গলবার (১৫ মার্চ) সন্ধ্যায় ঢাকায় আসেন সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী। বিমানবন্দরে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সৌদি মন্ত্রী আল সাউদকে স্বাগত জানান।
২০১৬ সালের মার্চে তৎকালীন সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী আদেল বিন আহমেদ আল-যুবায়ের ঢাকা সফর করেছিলেন। প্রায় ছয় বছর পর দেশটির কোনো পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশ সফরে এলেন।