এর মধ্যে রয়েছে পেঁয়াজ, মসুর ডাল, আদা এবং পাম অয়েল (সুপার)। রাজধানীর বিভিন্ন খুচরা বাজার থেকে তথ্য সংগ্রহ করে গত মঙ্গলবার এসব পণ্যের দাম কমার প্রতিবেদন তৈরি করেছে সরকারি এই প্রতিষ্ঠানটি।
প্রতিষ্ঠানটির তথ্য অনুযায়ী, রোজার মধ্যে সব থেকে বেশি দাম কমেছে পেঁয়াজের। এই পণ্যটির দাম ১৩ শতাংশের ওপরে কমেছে। রাজধানীর শাহজাহানপুর, মালিবাগ বাজার, কারওয়ান বাজার, বাদামতলী বাজার, সূত্রাপুর বাজার, শ্যামবাজার, কচুক্ষেত বাজার, মৌলভী বাজার, মহাখালী বাজার, উত্তরা আজমপুর বাজার, রহমতগঞ্জ বাজার, রামপুরা এবং মীরপুর-১ নম্বর বাজারের পণ্যের দামের তথ্য নিয়ে এই প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে।
তৃতীয় রোজায় অর্থাৎ ২৭ এপ্রিল দেশি ও আমদানি করা উভয় ধরনের পেঁয়াজের দাম কমেছে। এর মধ্যে দেশি পেঁয়াজের দাম ১৩ দশমিক শূন্য চার শতাংশ এবং আমদানি করা পেঁয়াজের দাম ৯ দশমিক ৫২ শতাংশ কমেছে। বর্তমানে দেশি পেঁয়াজের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪৫ থেকে ৫৫ টাকা, যা আগে ছিল ৫৫ থেকে ৬০ টাকা। আর ৫০ থেকে ৫৫ টাকা কেজি বিক্রি হওয়া আমদানি করা পেঁয়াজের দাম কমে হয়েছে ৪৫ থেকে ৫০ টাকা।
সরকারি এই প্রতিষ্ঠানের হিসাবে, রোজার মধ্যে খুচরা পর্যায়ে বড় দানার মসুর ডালের দাম কমেছে ২ দশমিক ৬৩ শতাংশ। পণ্যটির দাম কমে ২৮ এপ্রিল বা চার রোজায়। রোজার আগে ৯০ থেকে ১০০ টাকা কেজি বিক্রি হওয়া বড় দানার মসুর ডালের দাম কমে হয়েছে ৯০ থেকে ৯৫ টাকা।
দাম কমার এ তালিকায় রয়েছে করোনায় অস্বাভাবিক বেড়ে যাওয়া আদাও। টিসিবির তথ্য অনুয়ায়ী, ২৭ এপ্রিল আমদানি করা আদার দাম কমেছে। পণ্যটির দাম ১০ দশমিক ৭৭ শতাংশ কমে ২৮০ থেকে ৩০০ টাকায় নেমেছে। যা আগে ছিল ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকা কেজি। আমদানি করা আদার দাম বাড়লেও নতুন করে দেশি আদার দাম আরও বেড়েছে।
টিসিবির হিসাবে, দেশি আদার দাম বেড়েছে ৪ দশমিক ১৭ শতাংশ। ২২০ থেকে ২৬০ টাকা কেজি বিক্রি হওয়া দেশি আদার দাম বেড়ে হয়েছে ২২০ থেকে ২৮০ টাকা। ২৮ এপ্রিল পণ্যটির দাম নতুন করে বেড়েছে। রোজায় দাম কমার তালিকায় থাকা আর এক পণ্য পাম অয়েলের (সুপার) কেজি ৮০ থেকে ৭৫ টাকায় নেমেছে, যা আগে ছিল ৮০ থেকে ৯০ টাকা। পণ্যটির দাম ২৮ এপ্রিল কমেছে বলে জানিয়েছে টিসিবি।