বুধবার ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে চীন প্রসঙ্গে কথা বলেন ট্রাম্প। তিনি জানান, ভাইরাস নিয়ে বেইজিং-এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার নানা উপায় খতিয়ে দেখছেন তিনি।
বিশ্ব জুড়ে করোনাভাইরাসের মহামারির জন্য চীনকে দায়ী করে আসছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এই মহামারিতে যুক্তরাষ্ট্রেই ৬০ হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে আর মার্কিন অর্থনীতি পড়েছে এক ভয়াবহ মন্দার মধ্যে। ফলে আরও চার বছরের জন্য ট্রাম্পের নির্বাচিত হওয়াকে ফেলে দিয়েছে অনিশ্চয়তার মধ্যে।
রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে প্রায়ই অভিযোগ উঠে থাকে ভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে যুক্তরাষ্ট্রকে যথেষ্ট আগেভাগে প্রস্তুত করেননি তিনি। ট্রাম্প বলে থাকেন তার বিশ্বাস ভাইরাসটি সম্পর্কে আরও আগে দুনিয়াকে জানাতে চীন অনেক বেশি সক্রিয় হতে পারতো।
চীনের বিরুদ্ধে নতুন করে শুল্ক আরোপের কথা বিবেচনা করছেন কিনা জানতে চাইলে ট্রাম্প বলেন, ‘আমার অনেক কিছুই করার আছে। কী ঘটছে তা আমরা খতিয়ে দেখছি। আমাকে এই নির্বাচনে হারাতে যা কিছু সম্ভব তার সবকিছুই করবে চীন।’ তিনি বলেন, চীনের ওপর বাণিজ্য ও অন্য নানা ইস্যুতে যে চাপ তিনি তৈরি করেছেন তা শিথিল করতে বেইজিং চায় ডেমোক্র্যাটিক প্রার্থী জো বাইডেনকে বিজয়ী হোক।
ট্রাম্প প্রশাসনের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বুধবার রয়টার্সকে জানান, মার্চের শেষ দিকে এক ফোনালাপে ট্রাম্প ও চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং বাকযুদ্ধ থামানোর বিষয়ে অনানুষ্ঠিকভাবে সম্মত হয়েছিলেন। তবে এখন তার অবসান হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। ওই সময়ে দুই নেতা করোনাভাইরাস মোকাবিলায় সম্ভাব্য সব ধরণের সহায়তার প্রতিশ্রুতি দেন। তবে সম্প্রতি ওয়াশিংটন ও বেইজিং ভাইরাসটি নিয়ে পাল্টাপাল্টি দোষারোপ বাড়িয়েছে।
রয়টার্স জানিয়েছে, ট্রাম্প ও তার শীর্ষ সহযোগিরা চীন বিরোধী বক্তব্যের পরিমাণ বাড়ালেও সরাসরি প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং-এর সমালোচনা বন্ধ রেখেছেন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট বরাবর তাকে নিজের বন্ধু হিসেবে আখ্যা দিয়ে এসেছেন।