নিজেই করোনায় আক্রান্তের খবর ফেইসবুক পোস্টে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নাবিয়াম- “নভেল করোনা পরীক্ষার ফল পজিটিভ এসেছে। আমি এখন বাড়িতে আছি, ভালো আছি।”
ছোঁয়াচে এই ভাইরাস খুব সহজে ছড়িয়ে পড়ে এবং বিস্তার লাখ করে বিধায় জনগণকে ঘরে থাকার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী, “আপনাদের নিজের জীবন ও পরিবারের সদস্যদের জীবন রক্ষায় প্রত্যেকটি নির্দেশনা মেনে চলুন।”
এক সময় পর্তুগিজদের শাসিত আটলান্টিক মহাসাগর ঘেঁষা পশ্চিম আফ্রিকার ক্ষুদ্র দেশটির জনগণের সংখ্যা মাত্র ১৮ লাখ।
জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য, গিনি বিসাউয়ে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ২০০ ছাড়িয়েছে, মৃত্যু হয়েছে একজনের।
১৯৭৪ সালে স্বাধীনতা লাভ করলেও গিনি বিসাউয়ে অস্থিতিশীলতা এখনো নিত্য ঘটনা। দুর্নীতিগ্রস্ত, দারিদ্র্যপীড়িত দেশটিতে প্রায়ই সামরিক ক্যু’র খবর পাওয়া যায়। দক্ষিণ আমেরিকা থেকে ইউরোপে কোকেন পাচারে গিনি বিসাউ ট্রানজিট হিসেবেও ব্যবহৃত হয়।
দারিদ্র্যপীড়িত হওয়ায় করোনাভাইরাস ব্যাপক হারে ছড়িয়ে পড়লে বড় সমস্যায় পড়বে গিনি বিসাও।
প্রধানমন্ত্রী নাবিয়াম জানিয়েছেন, করোনা রোখায় গঠিত আন্তঃমন্ত্রণালয় কমিটির অনেকে কভিড-১৯ এ আক্রান্ত হয়েছেন। প্রাণঘাতী এই ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সামনের সারিতে থাকায় তারা এতে আক্রান্ত হয়ে থাকতে পারেন বলে মনে করেন প্রধানমন্ত্রী।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী আন্তোনিও দেওনা এএফপিকে বলেন, সরকারের আরও তিনজন মন্ত্রী করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। তাদের মধ্যে রয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বতসে ক্যান্দে, পাবলিক অর্ডার মন্ত্রী মারিও ফাম্বে ও আঞ্চলিক সংহতি মন্ত্রী মনিকা বইরো।
করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন দেশটির সিনিয়র পুলিশ কমিশনার বিয়ম নানচোনগো। আক্রান্তদের সংস্পর্শে আসা অনেক সরকারি কর্মকর্তা, কর্মচারীদের করোনা টেস্ট করানো হচ্ছে।